মে ১৯, ২০২৪

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ উত্তোরনে পুঁজিবাজারে পর্যাপ্ত তারল্য নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে, ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের দেয়া ব্যাংকের শ্রেণীবদ্ধ ঋণের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত প্রভিশন ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়াও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ না নিয়ে বন্ড ইস্যু করে অর্থের সংস্থান করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রোববার (১৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের ১ম ষান্মাসিক এর জন্য (জুলাই-ডিসেম্বর-২০২৩) নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য জানানো হয়।

ঘোষিত মুদ্রানীতিতে একটি উন্নত ও বিকশিত পুঁজিবাজার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখিত হয়েছে। উন্নত ও বিকশিত পুঁজিবাজারের অভাবে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ ব্যাংকের অর্থায়নের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। বন্ড মার্কেট এই বৃহৎ অর্থায়নের চাহিদা পূরণ করতে পারে। সরকারি ও বেসরকারি খাত বন্ডের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে তাদের ব্যয় কমাতে পারে এবং পারিচালনাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও সরকার বন্ড-এর মাধ্যমে কম খরচে বাজেটের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারে৷

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটে দুটি অংশ রয়েছে। একটি ইক্যুইটি মার্কেট, অপরটি বন্ড। আমাদের সবাই ইক্যুইটি মার্কেট নিয়ে কথা বলে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আমরা চাচ্ছি বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন করতে। নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনে আমরা বন্ডকে আলাদা করে দিয়েছি যেন ব্যাংক বেশি বিনিয়োগ করতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ডের ট্রেড সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে মার্কেট ইনফ্রাস্টাকচার মডিউল প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য গাইডলাইন প্রনণন করেছে৷ এছাড়া ব্যাংকিং কোম্পনি অ্যাক্ট ১৯৯১-এর সংশোধন অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে রয়েছে৷ যা বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজার উন্নয়নে সহায়ক হবে৷ বিএসইসি বাজারের প্রবৃদ্ধির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে এবং এজন্য কিছু নীতিগত ব্যবস্থা নিয়েছে৷ এর মধ্যে অন্যতম হলো: মিউচ্যুয়াল ফান্ড, (স্পেশাল ফান্ড যেমন পেনশন ফান্ড ব্যাতিত) এর বিনিয়োগ সীমা বৃদ্ধি করা৷ বিএসইসি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ন্যূনতম বিনিয়োগের সীমা ৬০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশে বৃদ্ধি করেছে৷

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *