মে ১৯, ২০২৪

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাবনাবাদ নদীর মোহনায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনালটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে পায়রা বন্দরের টার্মিনাল, ইয়ার্ড ও ছয় লেনের সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ।

এই বন্দর চালু হলে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরের টার্মিনালে জাহাজের কন্টেইনার পরিবহনসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। তবে টার্মিনালসহ অনুসাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এ বছরের জুনে বন্দর প্রকল্প শেষ করার সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও তা এখনো শেষ হয়নি। এছাড়া আন্দারমানিক নদীর ওপর ছয় লেনের সেতু নির্মাণের কাজও দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হচ্ছে। একইসঙ্গে ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য ৩ হাজার ৪২৩টি বাড়ি নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ৪ হাজার ২০০ সদস্যের জন্য বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। তবে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট সমুদ্র বন্দরটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং কোরিয়ান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে। বন্দরের প্রকৌশলীরা জানান সার্ভিস জেটি এবং জেটি সংলগ্ন সড়কের কাজ ৯৮.৫০ শতাংশ, ইয়ার্ড এবং জেটির কাজ ৬৭ শতাংশ, ৬ লেনের সংযোগ সড়ক ও ব্রিজের কাজ ৩৫ শতাংশ এবং বানতিপাড়া বাজার থেকে সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ছয় লেনের সড়কের কাজ ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি আন্ধারমানিক নদীর ওপর ১.১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ঠিকাদার নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে রাজধানীর সঙ্গে বন্দরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

ইতোমধ্যে বন্দরে ২৩৬টি বিদেশি সমুদ্রগামী জাহাজ এবং ৫৭০টি দেশীয় লাইটারেজ জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিং করার মাধ্যমে পায়রা বন্দর প্রায় ১৮ কোটি টাকা এবং সরকার রাজস্বখাতে প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা (ভ্যাটসহ) আয় করেছে। জাহাজ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য চ্যানেলের গভীরতা -৬.৩ মি: সিডি বজায় রাখার লক্ষ্যে রামনাবাদ চ্যানেলের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *