মার্কিন নতুন ভিসানীতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সঙ্গে একঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস । এতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক করেন তারা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের পিটার হাস বলেন, ‘গতকালকের (২৪ মে) ঘোষণা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি মার্কিন সমর্থনের একটি প্রয়াস। নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে গত বুধবারের বিবৃতি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের অংশ। এটি পূর্বনির্ধারিত, যা নিয়মিত বৈঠকের অংশ, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে নতুন ভিসা নীতি। এটি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী- বাংলাদেশের সবার জন্য যাতে করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।’
এদিকে এর আগে নতুন ভিসানীতি নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজেও একটি পোস্টে বলা হয়, ‘আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এ নতুন ভিসানীতি সবার জন্য প্রযোজ্য। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ বিষয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’
প্রসঙ্গত, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে গতকাল রাতে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। তাদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত।