মে ১৭, ২০২৪

কিছুদিন পরপরই খবরের শিরোনাম হন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। এর আগে তিনি সন্তানের মা হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছিল। তবে স্বামী কে, কবে সন্তান হলো, তারা কোথায় থাকেন, তা কেউ বলতে পারেনি।

কয়েক মাস বিরতির পর গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ আবারো খবরের শিরোনাম হলেন এই নায়িকা। পারিবারিক সূত্রের বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এবার বলা হচ্ছে, আদনান কামাল নামের এক জাহাজ ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন পপি। তাদের সংসারে আয়াত নামে দুই বছর বয়সি সন্তানও রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত পপির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পপির কথিত স্বামী আদনান কামাল বুধবার একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানান, পপির সঙ্গে তার বিয়ের কোনো প্রশ্নই আসে না। কোনো মহল তার বিরুদ্ধে ছড়াচ্ছে।

আদনান বলেন, ‘পপির সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল সারা দিন আমার কাছে কয়েক হাজার ফোন এসেছে। আমি বিরক্ত। আমাকে এসব করে রীতিমতো ভাইরাল করে দিয়েছে। আমার ওয়াইফও বিষয়টি বেশ উপভোগ করছে।

নিজেকে পুরান ঢাকার বাসিন্দা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরান ঢাকায় মানুষের ইজ্জত–সম্মান অনেক বড় জিনিস। কাউকে ছোট করে কেউ কখনো বড় হতে পারেন না। যে সাংবাদিক লিখেছেন, তাকে আমি বকা দেব না। তার মা-বাবা কষ্ট করে পড়াশোনা করিয়ে সাংবাদিক বানিয়েছেন। সম্মানজনক একটা পেশায় কাজ করছেন তিনি। কিন্তু তিনি তো এভাবে না বুঝে লিখতে পারেন না। নিশ্চিত না হয়ে কারো ছবি এভাবে দেওয়া উচিত নয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, জেনে লিখুন। না জেনেও যদি লিখতে চান, তা–ও লিখুন। কিন্তু খারাপ লাগছে এটা দেখে, আপনারা আমার তিন সন্তানকে নিয়ে লেখালেখি করতেছেন, এটা খুবই কষ্টদায়ক।

পপিকে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে আদনান বলেন, পপি ম্যাডাম আমাদের পারিবারিক বন্ধু। আমার ওয়াইফের বড় বোনের বন্ধু। ২০১৮ সালে আমার ছোটবোনের বিয়েতেও এসেছিলেন। গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। আমাদের শো করেছেন। আমার ওয়াইফকেও জিজ্ঞেস করেছি, পপির সঙ্গে তাদের পরিচয় কবে থেকে। সে জানিয়েছে, ২০০৪ থেকে তাদের পরিচয়। বাসায় যাওয়া-আসা। তখন তো আমার বিয়েও হয়নি। আমার বিয়ে হয়েছে ২০১১ সালে।

পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, পপি ম্যাডাম কি কোথাও বলছেন, আমি তার হাজবেন্ড?’

তাহলে আপনার সঙ্গে বিয়ের কথা উঠল কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আদনান বলেন, আমার জীবনে এই ধরনের কথা কখনোই ওঠেনি। পারিবারিক বন্ধুত্বের কারণে পপি ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। তিনি আত্মীয়স্বজন, বন্ধুর মতো। তিনি আমাদের বাড়িতে আসছেন, আমরা তার বাড়িতে গেছি। কিন্তু এটাকে এভাবে বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমার তিন সন্তান। বড় মেয়ে আদিবা, ছোট মেয়ে আজরীন ও ছেলে আলভী। আমার মনে হয়, সমাজে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজ প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীরা করছেন। আমার তিন–চারজনকে সন্দেহ হয়েছে। তাদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তারপর নামটা বলতে চাই।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *