মে ১৭, ২০২৪

পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধিসহ ১২ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৯ হাজার ৫৯৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৬ হাজার ২৬০ কোটি ৭২ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১৩ হাজার ২০৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনা সাচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকী, একেএম ফজলুল হক, ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দুটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপন্থাপন করা হলেও তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্রকল্প। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- অবকাঠামো নির্মাণ না করে যে অবকাঠামো আছে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার করতে হবে। আমার এলাকায় জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে আর আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখি তারপর নিয়ে আসেন। এ ছাড়া দেশের কারাগারগুলোতে ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপন করতে হবে। যাতে আসামিদের নিয়ে যেতে আসতে কোনো হয়রানি না হয় এবং অতিরিক্ত খরচ কমবে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। এছাড়াও নদী ভাঙন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো জলবায়ু ফান্ড থেকে (আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট ফান্ড) থেকে প্রকল্প নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পটির ব্যয় থেকে ২ হাজার ৪১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বেড়ে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো- প্রোগ্রাম ফর এগ্রিকালচার রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনিউরশিপস অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ। এ ছাড়া বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স লাভলিহুড ইন ভারনালেবল ল্যান্ডস্কেপস ইন বাংলাদেশ। বরিশাল জেলার সদর উপজেলার চরকাউয়া, চাঁদমারী, জাগুয়া, লামচরি এবং চরমোনাই এলাকা কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা (প্রথম পর্যায়)। ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি স্থাপন। ইমপ্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারী এডুকেশন প্রজেক্ট। ইকোনমিক এক্সিলারেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফর এনইইটি (ইএআরএন) প্রজেক্ট। সেফার সাইবার স্পেস ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ: এনহ্যান্সিং ন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল ডিজিটাল ইনভেসটিগেশন ক্যাপাবিলিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ। ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগহার পুনঃনির্মাণ। বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্প

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *