মে ১৭, ২০২৪

রাশিয়ার প্রধান বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের মিল খুঁজে পান যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাভালনি তার জীবদ্দশায় রাশিয়ার দুর্নীতি, গণতন্ত্রহীনতা, স্বৈরতন্ত্রসহ যেসব ইস্যুতে সরব ছিলেন, বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রেও এসব ইস্যুর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনির মৃত্যুর তিন দিন পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে প্রথমবার এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির এই শীর্ষ নেতা বলেন, অ্যালেক্সেই নাভালনির আকস্মিক মৃত্যু আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমাকে আরও বেশি সচেতন করে তুলেছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রে এখন যা হচ্ছে- কুটিল, কট্টর বামপন্থি রাজনীতিক, আইনজীবী এবং বিচারকরা আমাদের দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া, নির্বাচনে কারচুপি এবং আদালতে দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করছে। জাতি হিসেবে আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছি। আমরা একটি ব্যর্থ জাতি।’

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে কারাগারে হাঁটার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪৭ বছর বয়সী অ্যালেক্সেই নাভালনি। একই সময়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাডেন ডেথ সিনড্রোমে মৃত্যু হয়েছে তার।

নিজের দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠানের তহবিল আত্মসাৎ এবং সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ৩১ বছর কারাবাসের সাজা খাটছিলেন নাভালনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সম্পর্কে তার বক্তব্য ছিল- দেশটির বর্তমান সরকার অসৎ এবং চোরে পরিপূর্ণ।

সোমবার ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার-প্রচারণা টিম ট্রাম্প ক্যাম্পেইনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স; কিন্তু কোনো কর্মকর্তা এ ইস্যুতে কথা বলতে রাজি হননি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজে অবশ্য স্বস্তিকর অবস্থায় নেই। চলতি নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে, সেখানে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান ট্রাম্প। সেজন্য জোর প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আদালত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও জাল-জালিয়াতি সংক্রান্ত দুটি মামলার রায় দিয়েছেন। দুই রায়ই ট্রাম্পের বিপক্ষে গেছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *