

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে নামাজ শেষ হয়।
নামাজে ইমামতি করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি এবং কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের। ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৬০ একরের পুরো ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে কামারপাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের অলি-গলিতেও জুমার নামাজে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি।
ছুটির দিনে বৃহৎ জামাতে অংশ ও জুমার নামাজে যোগ দিতে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ দলে দলে ইজতেমা ময়দানের দিকে আসতে শুরু করেন। কেউ বাস, কেউ মোটরসাইকেল আবার কেউ–বা পায়ে হেঁটে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে রওনা করেন। অনেকেই আবার বৃহত্তম এই জুমার নামাজে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন।
আগত মুসল্লিরা বলেন, দেশের এত বড় জামাতে শরিক হওয়া অবশ্যই ভাগ্যের ব্যাপার।
প্রথম পর্বের ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী জহির ইবনে মুসলিম বলেন, শুক্রবার ফজর নামাজের পর বয়ান করেন মাওলানা আহম্মেদ বাটলার, সকাল ১০টায় তালিম করেন মাওলানা জিয়াউল হক, জুমার নামাজ পড়ান মাওলানা জোবায়ের। জুমার নামাজের পর বয়ান করবেন জর্ডানের খতিব ওমর, আছরের পর মাওলানা জোবায়ের ও মাগরিবের পর মাওলানা আহম্মেদ লাট বয়ান করবেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় হাজার সদস্যের পাশাপাশি র্যাব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।