মে ৩, ২০২৪

জনপ্রিয় ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজের তিনবার ‘মিসক্যারেজ’ হয়েছিল। এমনকি চতুর্থবার যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় আরও এক সন্তানের মৃত্যু হয়। নেটফ্লিক্সের ‘আই অ্যাম জর্জিনা’ নামে একটি শোতে ওই সময় তাদের পার করা মানসিক কষ্টের কথা জানালেন জর্জিনা।

রোনালদো মানেই মাঠে আগ্রাসী মনোভাব। গোলের পর লাফিয়ে উঠে উচ্ছ্বাস। গোল করার জন্য তার খিদে ৩৮ বছর বয়সেও কমেনি। কিন্তু এর বাইরেও এক রোনালদো আছেন। যিনি সন্তানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন। বান্ধবীর পাশে দাঁড়াতে খেলা ছেড়ে দেশে ফেরেন। এবার সেই রোনালদোকেই চেনালেন জর্জিনা।

গত বছরের এপ্রিলে যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ছিল এ দম্পতির। কিন্তু সেই সময় মেয়ে বেলার জন্ম হলেও ছেলের মৃত্যু হয়। জর্জিনা বলেন, আল্ট্রাসাউন্ড করাতে যেতে ভয় পেতাম আমি। তিনবার গর্ভেই সন্তান নষ্ট হয়েছিল আমার। তাই প্রতিবার আল্ট্রাসাউন্ড করানোর সময় ভয় করত। ভেঙে পড়েছিলাম। বুঝতে পারতাম না কী করব। কন্যা বেলাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে বাকি সন্তানদের প্রথমে বলতে পারিনি, ছেলে মারা গেছে। তাদের বলেছিলাম, সে পরে আসবে।

জর্জিনা আরও বলেন, পরে রোনালদো তার বাকি সন্তানদের জানান ছেলের মারা যাওয়ার খবর। আমি তাদের বলেছিলাম অ্যাঞ্জেল (মৃত ছেলে) পরে আসবে। রোনালদো পরে ওদের বুঝিয়ে বলেন, অ্যাঞ্জেল স্বর্গে। সত্যিটা বলে দিয়েছিল ও।

রোনালদোর পাঁচ সন্তান। এর মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়রের মায়ের নাম জানাননি পর্তুগিজ এ ফুটবলার। সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম হয় এভা এবং মাতেওর। তবে জর্জিনা অ্যালানা এবং বেলার জন্ম দেন।

নেটফ্লিক্সের ‘আই অ্যাম জর্জিনা’ এ শোটি মুক্তি পাবে আগামী ২৪ মার্চ। আর সেই শোতে জর্জিনা জানাবেন তার এবং রোনালদোর সেই সময়ের কথা।

একটি সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেন, সেই সময় তার অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। বাবা এবং সন্তানের চিতাভষ্ম রাখা আছে বাড়িতে। সারা জীবন রেখে দেবো এটা আমার কাছে। কখনও সমুদ্রে বা নদীতে ফেলে দেবো না। আমার বাড়ির নিচে ছোট একটা চার্চ আছে। সেখানে রেখে দিয়েছি দুইজনের চিতাভষ্ম। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলি। আমার মনে হয় ওরা আমার পাশেই আছে।

সেই সাক্ষাৎকারেই রোনালদো জানিয়েছিলেন, তার সন্তানের মৃত্যুর পর বাড়ির অবস্থার কথা। তিনি বলেন, জর্জিনা বাড়ি ফেরার পর অন্য সন্তানরা বলতে থাকে, আরও একজন কোথায়? ওদের বুঝতে এবং মেনে নিতে সময় লেগেছিল। এক সপ্তাহ পর আমি ঠিক করি ওদের সত্যিটা জানানো দরকার। আমাদের ছেলে অ্যাঞ্জেল স্বর্গে চলে গেছে বলে জানিয়েছিলাম ওদের।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *