মে ২, ২০২৪

দুই বছর আগে, ভালোবাসা দিবসে জুটি বেঁধে একটি নাটকে অভিনয় করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান ও হালের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। নাটকটির নাম ছিল ‘কমলা রঙের রোদ’। এটি দারুণ সাড়া ফেলে দর্শক মহলে।

এমনকি এর সিক্যুয়াল ‘কমলা রঙের রোদ-২’ও নির্মিত হয়। তারপর থেকেই যেন বিনোদন মহলে ছড়িয়ে পড়ে তাহসান-ফারিণের প্রেমের গুঞ্জন। সে সময় বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রোণোদিত এবং বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন এ দুই তারকা। তবে এরপরে আর একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়নি তাহসান-ফারিণকে।

মাঝে কেটে যায় দুবছর। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে আছেন তাহসান। প্রস্তুতি নিচ্ছেন তার নতুন গানের অ্যালবামের। আর ফারিণও ব্যস্ত অভিনয় নিয়ে। এরই মাঝে গত বছর বিয়ে করে সংসারীও হয়েছেন এ অভিনেত্রী। কিন্তু সম্প্রতি আবারও আলোচনা শুরু হয় এ দুই তারকাকে নিয়ে।

২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে তাহসানের ভেরিফায়েড পেজ থেকে লাইভ হয় একটি ভিডিও। ভিডিওটি দেখে স্পষ্ট কিছু বোঝা না গেলেও সেটিতে তাহসানের সঙ্গে অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণকে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুমে দেখা যায়। যদিও ভিডিওটি কয়েক ঘণ্টা পর মুছে ফেলা হয়, তবে ততক্ষণে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওটি দেখে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়। এ লাইভ ভিডিও শেয়ার হতে থাকে ফেসবুকের বিভিন্ন মিমপেজ, এমনকি ব্যক্তিগত প্রোফাইলেও। তবে তাহসানের এ লাইভের ঘণ্টাখানেক পর ঘটনাটি আরও উসকে দেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।

তিনি ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘এত রাতে এ কোথায় ফেঁসে গেলাম?’ তার এর স্ট্যাটাস নেটিজেনদের কৌতূহল এবং রহস্য আরও পক্ত করে তোলে। যদিও এ নিয়ে ততক্ষণাৎ এ দুই তারকার কেউই মুখ খোলেননি।

তবে অনেকেই ধারণা করেছেন হয়তো আলোচনায় থাকতেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তারা। কারণ প্রায়শই বিতর্কিত ঘটনাকে আলোচনায় থাকার কৌশল হিসাবে ব্যবহার করেন তারকারা।

এ ঘটনা যখন আলোচনা সমালোচনার তুঙ্গে তখন, অর্থাৎ গত শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন তাহসান-ফারিণ।

সেখানে তারা জানান, একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য তারা ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুমে গিয়েছিলেন, তখনই ভুলে লাইভ হয়ে যায় ভিডিওটি। এই ভিডিও নিয়ে নানারকম মন্তব্য হলেও কাজের ব্যস্ততার জন্য সবাইকে উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়নি।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভালো কিছু নিয়ে দর্শকের সামনে উপস্থিত হবেন। তবে মিডিয়াকেও তারা এজন্য বেজায় দোষারোপ করেছেন। বলেছেন, মিডিয়াই তাদের সবকিছু ভুলভাল প্রকাশ করে!

তবে এ সংবাদ সম্মেলনেও খুব একটা কার্যকরী ফল বয়ে আনছে না। কারণ, বিষয়টি যদি এতই সহজ হয়, তবে দুদিন পর সংবাদ সম্মেলন করার প্রয়োজন কি ছিল? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে জানলেই হয়তো সমাধান হতে পারত।

কিন্তু তারা যে পথটি বেছে নিয়েছেন তা আলোচনা কিংবা সমালোচনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাহলে কি আলোচনায় থাকার কৌশল হিসাবেই প্রথমে ফেসবুক লাইভ এবং পরে প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করেছেন এ দুই তারকা? নাকি এটা শ্রেফ একটা ভুল ছিল? এমন প্রশ্ন নেটিজেনরা করেই যাচ্ছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *