মে ১৮, ২০২৪

ভারত ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ নিলেও টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদের আছে, আমাদের থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। এজন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাওয়াসহ যা যা করা দরকার তা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ভারত সরকার টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে সনদ দিয়েছে। পরে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশ করে।

ভারতও টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই সনদ নিয়েছে। এখন সরকার কী পদক্ষেপ নেবে-জানতে চাইলে বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, রাতে যখন বিষয়টি আমরা অনলাইনে পেয়েছি, পর দিন সকালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিয়ে অফিসে বসেছি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যে সংবাদটি পরিবেশন করেছে, আমাদের তৎপতার কারণে তারা সন্ধ্যার পর সেটি সরিয়ে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা-এটি আমাদের আগে নেওয়া উচিত ছিল। আমরা নিতে পারিনি। এখন আমাদের যেখানে যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নিচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাবো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদের আছে, আমাদের থাকবে। সেটি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার আমরা তা করবো। আমরা এগোচ্ছি।’

নির্বাচনের আগে বলা হচ্ছিল পোশাক শিল্পের বাজার কমে যাচ্ছে, ছোট হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও সেকেন্ডারি মার্কেট খোঁজার জন্য বলেছিলেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজিএমইএ’র সভাপতি বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। আপনি যে জায়গার কথা ইঙ্গিত করছেন, আমিও সেই জায়গার কথা ইঙ্গিত করে আমিও তার রিপোর্টে আজ আশ্বস্ত হয়েছি। আমরা একজন মোড়লের ওপরে নির্ভরশীল নই। বিশ্ব বাজার আমরা দখল করছি।’

তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গার্মেন্টস শিল্পটাকে ব্যবহার করতে চায়। কেউ কেউ শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে গার্মেন্টস উৎপাদন ব্যাহত করে এ শিল্প বাজারকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করে। এ ষড়যন্ত্র বারবার উদঘাটন হয়েছে। এ ব্যপারে আমরা সতর্ক রয়েছি।’

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট রয়েছে। এতে পোশাক কারখানায় উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাবে পড়ে-এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘গ্যাস সংকট রয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। গ্যসের ব্যাবহারও অনেক বেড়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন মানুষ অনেক আত্মপ্রসাদ নিয়ে আছে। আমি বলবো না, একটা মানুষ দেড় হাজার টাকা দামের জামা পড়ছে। তবে আমি বলবো, সেই মানুষটি আজ গার্মেন্টস শিল্পের কারণেই দেড়শ-দুইশ টাকায় একটি নতুন জামা পড়ছে। আমরা ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সেটিকে উৎসাহিত করতে হবে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *