মে ১৭, ২০২৪

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্লান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির আলোকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বা তারও আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাপান দূতাবাস ও জাইকা এক সঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্লান চূড়ান্তভাবে উদ্বোধন করা সম্ভব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে জাপানের মতো করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। জাপানের প্রযুক্তি খাত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকে সোনার বাংলা বিনির্মাণে অনুপ্রাণিত করেছিল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি বিশেষ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপান বন্ধুপ্রতীম দু’টি দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারবাহিকতায় বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নে জাপান সরকার ও জাপানের বেসরকারি খাতের সহযোগিতা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল, মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্ট, ব্রিজ, রেল, সড়ক এবং পরিবহণসহ অবকাঠামো খাতে জাপানের গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ রয়েছে। এসব জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশকে মাধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখছে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটি সেক্টরে জাপানের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও সহযোগিতা রয়েছে। আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স প্রোগ্রাম কর্মসূচির আওতায় কয়েকশত ইঞ্জিনিয়ার জাপানে কাজ করছে। কয়েক হাজার ছাত্র আইটি প্রোগ্রামে উর্ত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা, জাপান এবং ঢাকার বাইরের অনেক শহরে জাপানিজ কোম্পানিতে কাজ করছে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৬০টি দেশে আইটি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে জাপান অন্যতম একটি গন্তব্য।

বৈঠকে টেলিকম ও আইসিটি সেক্টরে অধিক জাপানিজ বিনিয়োগ যাতে হয় সেই বিষয়টি নিয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জাপানে রপ্তানি বাড়ানো, টেলিটক এবং টেশিস এ বিনিয়োগের যে সুযোগ রয়েছে সুগুলোও বৈঠকে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, পিপিপির আওতায় জাপানের ডাক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন হয়েছে। আমাদের ডাকঘরের উন্নয়নে বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহায়তা চেয়েছি।

জাপানি রাষ্টদূত বলেন, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আইসিটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের চাহিদা পূরণে আমরা কাজ করে যাব।

জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুউচি টমোহিদি এবং জেট্রোর ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইয়ামাদা কাজুনুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *