জার্মান-ইরানি নাগরিক জামশিদ শারমাদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বহাল রাখলো ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। গত ফেব্রুয়ারিতে নিম্ন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। বুধবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে।
শিরাজে একটি সহিংস আক্রমণে ১৪ জন মারা গেছিলেন। ইরানের প্রশাসনের অভিযোগ, জামশিদ সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, জামশিদ ন্যায়বিচার পাননি। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, ‘প্রথম থেকেই জামশিদের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হচ্ছে। তাই ইরানের সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মানতে পারছে না জার্মানি।’
ইরানে জার্মানির রাষ্ট্রদূত তড়িঘড়ি করে তেহরান ফিরেছেন। তিনি ইরানের প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
জামশিদকে ২০২০ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আমেরিকা ভিত্তিক একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা। ওই জঙ্গি গোষ্ঠী ইরানে নাশকতা চালায়। তারা ১৯৭৯ সালের ইসলামিক রেভলিউশনকে ব্যর্থ করে আবার পশ্চিমা দেশগুলির সমর্থনে রাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়।
৬৮ বছর বয়সি জামশিদ ক্যালিফোর্নিয়ায় ছিলেন। তার সঙ্গে সিআইএ ও এফবিআইয়ের যোগাযোগ আছে। তিনি ইসরায়েলি মোসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ইরানের নিম্ন আদালত জামশিদের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর জার্মানি ইরানের দূতাবাস থেকে দুইজন কূটনীতিককে দেশে পাঠিয়ে দেয়। ইরানও তারপর দুই জার্মান কূটনীতিককে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স