মে ১৯, ২০২৪

বর্তমানে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারিত আছে। তবে সরকার-নির্ধারিত এই দাম ব্যবসায়ীরা মানছেন না। বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরই মধ্যে নতুন করে আবারও চিনির দাম কেজিতে ২৫ টাকা বাড়ানোর কথা জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে দিয়েছেন মিল মালিকরা।

সোমবার (১৯ জুন) শুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য সচিব বরাবর ওই চিঠি পাঠানো হয়।

নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী ২২ জুন থেকে প্রতিকেজি খোলা চিনির দাম ১৪০ টাকা এবং প্যাকেট চিনির দাম ১৫০ টাকা নির্ধারণের কথা জানানো হয়েছে। আগামী ২২ জুন এই দাম কার্যকর করতে চান তারা।

নীতিমালা অনুযায়ী, ভোজ্যতেল, চিনিসহ আরও কয়েকটি আমদানি পণ্যের দাম বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে নির্ধারণ করে সরকার। এই খাতের ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি চিনির দাম বাড়াতে সরকারের দ্বারস্থ হয়ে ব্যর্থ হন। অবশেষে তারা নিজেরাই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।

এর আগে খোলা চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনির দাম কেজিতে ২৫ টাকা বাড়াতে গত ৬ জুন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেয় শুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমদানিকারকরা আবেদন করলেও এখনি দাম বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম এবং আনুষঙ্গিক খরচ পর্যালোচনা করা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত ১১ মে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ায় দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু আমদানিকারক ও খুচরা ব্যবসায়ী কেউই মানেনি ওই দর। খোলা ও প্যাকেট উভয় চিনিই বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *