মে ১৯, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর বৃক্ষ প্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে প্রধান কার্যালয় চত্বরে চারা রোপণ করে গ্রামীণ ব্যাংক। তারা ২০২৩ সালে দেশব্যাপী ২০ কোটি গাছের চারা লাগানোর কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে।

কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন্বা মোঃ মোসলেহ উদ্দীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দীন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ছাইদুজ্জামান ভূঞা এবং অন্যান্য নির্বাহীগণ সহ গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।

জাতীয় সংগীত ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অতঃপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের উপর একটি তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশের গতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনিস্বীকার্য। তাই পরিবেশ ও নিজেদের জন্য বিনিয়োগ হিসেবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এই সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সর্বপ্রথম ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করে। ২০২১ সালের ১৫ ই আগষ্ট এক দিনে সারাদেশে ৯৭ লক্ষ বনজ ও ফলদ গাছের চারা রোপণ করা হয় এবং শেখ রাসেল দিবসে এক ঘন্টায় ১৪ লক্ষ সহ একদিনে ৯৪ লক্ষ গাছের চারা লাগানো হয়। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে ৭ কোটি ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। ২০২১-২০২২ সালে গ্রামীণ ব্যাংক দেশব্যাপী সর্বমোট ১৮ কোটি ৩১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৩ টি গাছের চারা রোপণ করেছে। ২০২৩ সালে আমারা সারাদেশে ২০ কোটি চারা লাগানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এরই অংশ হিসেবে আজ সারাদেশে ৩ কোটি গাছের চারা রোপণের কর্মসূচি চলছে। আমাদের এই বৃক্ষ রোপণ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দীন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাংলাদেশে বনভূমি থাকা উচিত ২৫ শতাংশ; যেখানে বর্তমানে বনভূমি রয়েছে ১৬ শতাংশ মাত্র। মানুষের মধ্যে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা ব্যক্তিগত ও সামাজিক ঊদ্যোগে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করতে উৎসাহিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জন্বা মোঃ মোসলেহ উদ্দীন বলেন বঙ্গবন্ধু নিবিড়ভাবে ভালোবেসেছিলেন বাংলার মাটি, মানুষ, পরিবেশ ও প্রকৃতিকে। তিনি সর্বস্তরে বৃক্ষরোপণের ডাক দিয়েছিলেন, উপকূলীয় বনায়ন করেছিলেন যা ছিল সুস্থ এবং পরিবেশবান্ধব সমাজব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ। বঙ্গবন্ধুর বৃক্ষ প্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক সারা দেশে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রামীণ ব্যাংকের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবেলা করে টেকসই বাংলাদেশ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *