মে ২০, ২০২৪

পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের (কেপিপিএল) শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া এবং অধিক পরিমান শেয়ার লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের কারখানায় উৎপাদন দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তারপরও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির বর্তমান পরিস্থিতি জানার জন্য কারখানা পরিদর্শন করেছে ডিএসইর পরিদর্শক দল। পরিদর্শনকালে তারা কারখানাটি বন্ধ পেয়েছে। এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পরেও কোম্পানিটির শেয়ারের দামের উল্লম্ফন থামেনি। এরই ধরাবাহিকতায় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া এবং হঠাৎ অধিক পরিমান শেয়ার লেনদেনের কারণ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্ষন্ত এই ২৪ কার্যদিবসে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারের দাম ৩০.৮০ টাকা বেড়েছে। গত ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ২৬ টাকা। আর ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৮০ টাকায়। ফলে এ সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১১৮.৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ২ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমান ছিল ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭১ টাকা। আর ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনর পরিমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লাখ ৬১ হাজার ১৯২ টাকা। ফলে কোম্পানিটির অস্বাভিক শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং হঠাৎ অধিক পরিমান শেয়ার লেনদেন বিএসইসির সার্ভিল্যান্স বিভাগের নজরে এসেছে।

ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে (সিআরও) পাঠানো চিঠিতে বিএসইসি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের দাম ও পরিমান অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে, কোম্পানিটি সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক মূল্য এবং শেয়ারের পরিমাণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেনি। এ পরিস্থিতিতে ডিএসইকে কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন সম্পর্কে বিশদ বিবরণে উপরে উল্লেখিত সময়ের জন্য তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

চিঠি আরো উল্লেখ করা হয়, দেখা যাচ্ছে যে, কোম্পানিটির শেয়ার ২৬ টাকা থেকে ৫৬.৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে গত ২ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার উল্লিখিত সময়ে ১১৮.৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এই চিঠি জারির তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিএসইসির কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *