মে ১৯, ২০২৪

নামে ‘খাঁটি’ লেখা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই ঘি খাঁটি হয় না। প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে বাজার থেকে ভেজাল ঘি বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু এখনও কিছু অসাধু ব্যক্তির চক্রান্তে চলছে ভেজাল ঘিয়ের ব্যবসা।

আজকাল বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ ঘি এরমধ্যেই ডালডা মেশানো থাকে। কিছু ক্ষেত্রে পাম তেলও থাকে। সঙ্গে থাকে কৃত্রিম রং। গন্ধের জন্য কিছুটা ঘি মিশিয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময়ে মহিষের দুধের ঘিয়ে রং মিশিয়ে গরুর দুধের ঘিয়ের মতো রূপ দেওয়া হয়। কখনো কখনো এমন রং ব্যবহার করা হয়, যা আদৌ ভোজ্য নয়। ঘিয়ের মধ্যে দানা তৈরি করার জন্যও নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়।

তবে খাঁটি ঘি চেনার সহজ একটি উপায় রয়েছে। কিছুটা ঘি হাতের তালুতে নিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে। ঘি বিশুদ্ধ হলে হাতের তালুর তাপেই কিছু ক্ষণ পর তা গলে যাবে। আবার কিছুক্ষণ চুলার সামনে ঘিয়ের বোতল রেখেও গলাতে পারেন। ঘি যদি গলতে সময় নেয় কিংবা রং হলুদ হয়ে যায়, তবে বুঝতে হবে ঘি খুব একটা খাঁটি নয়।

চাইলে আরও একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে ঘি পরীক্ষা করা যায়। একটি শিশিতে ঘি গলিয়ে নিন প্রথমে। তার পর শিশিটি তুলে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। যদি দেখেন গোটা শিশিতে জমাট বাধা ঘি একই রঙের তবে বুঝতে হবে ঘি খাঁটি।

মনে রাখতে হবে, ঘিয়ে ভেজাল থাকলে আলাদা আলাদা স্তরে আলাদা আলাদা রং থাকবে। এরপরেও ঘি ভালো না খারাপ তা একদমই বুঝতে না পারলে কোনো একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *