মে ২০, ২০২৪

সাধারণত কোলেস্টেরল দুই প্রকার। একটি শরীরের জন্য ভালো, অন্যটা খারাপ। একটার মধ্যে থাকে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন। অন্যটির মধ্যে থাকে নিম্ন ঘনত্বের লাইপ্রোটিন। যা শরীরে বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

নিন্ম ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিনের পরিমাণ শরীরে বাড়তে শুরু করলে তা শিরায় জমতে থাকে। এর ফলে শিরার সান্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। তখন রক্তপ্রবাহ বাধা পায়। এ থেকে পরিত্রাণে খুব ভালো কাজ করে সবুজ কিশমিশ। সবুজ কিশমিশ নিয়ম করে খেলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়।

তাহলে চলুন জেনে নেই সবুজ কিশমিশ কীভাবে খাবেন, তার নিয়ম-

এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনে ১০-১২ টি কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে। যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কিশমিশ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় সকালবেলা। সকালে খালি পেটে কিশমিশ খেলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। আগের রাতে এক কাপ পানিতে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে সেই পানি ছেঁকে খেয়ে নিতে হবে। এরপর সবুজ কিশমিশ চিবিয়ে খেতে হবে।

কিশমিশ শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিশমিশের মধ্যে থাকে ডায়েটারি ফাইবার। যা শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানেও সাহায্য করে এই কিশমিশ।

পুরুষদের জন্যেও খুব ভালো এই কিশমিশ। আজকাল সকলেরই কাজের চাপ বেশি। ফলে সারাদিন শরীরে ক্লান্তিভাব লেগেই থাকে। কিশমিশের মধ্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালোরি। যা প্রাকৃতিক শর্করা হিসেবে কাজ করে এবং শরীরে এনার্জি দেয়।

এছাড়াও সবুজ কিশমিশে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল, যা দাঁত ও মাড়ির জন্য ভালো। এসব উপাদান ক্যাভিটি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। একই সঙ্গে মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এর ফলে দাঁতেও কম ব্যথা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *