মে ১৯, ২০২৪

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের বীমা ব্যবসায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে, পূণ:বীমা পোর্টফালিও প্রিমিয়াম ও কমিশনবাবদ পাওনা ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আদায় অনিশ্চিত বা ঝুঁকিতে রয়েছে। তারপরেও ওই পাওনার বিপরীতে কোন সঞ্চিতি (প্রভিশনিং) গঠন করেনি বীমা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখিয়ে আসছে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। যে কোম্পানিটিতে ৩৩ লাখ টাকার বেশি অবন্টিত লভ্যাংশ থাকলেও এ সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাবে আছে ১১ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির ২০২২ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আর্থিক হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের অবন্টিত লভ্যাংশ হিসাবে ৩৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৬ টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাবে আছে ১১ লাখ ৪৫ হাজার ২০৯ টাকা। অর্থাৎ ব্যাংক হিসাবে অবন্টিত লভ্যাংশের ঘাটতি ২২ লাখ ৪ হাজার ৩৭৭ টাকা। যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনার ব্যত্যয়।

অবন্টিত লভ্যাংশ নিয়ে বিএসইসির ২০২১ সালের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যদি অবন্টিত লভ্যাংশ কোম্পানিতে থাকে, তাহলে সেই লভ্যাংশ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য পৃথক ব্যাংক হিসাবে রাখতে হবে। যা লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা রেকর্ড ডেটের ১ বছরের মধ্যে রাখতে হবে।

বীমা কোম্পানিটির ৭৫ লাখ ২৬ হাজার টাকার কমিশন পাওনা রয়েছে। এরমধ্যে ৬৩ লাখ ৬ হাজার টাকা ২০২০ সাল থেকে দেখিয়ে আসছে। তারপরেও আদায় অনিশ্চিত বা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় কোন সঞ্চিতি গঠন করেনি বলেনি জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

একইভাবে অন্যান্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা টাকা ও পূণ:বীমা পোর্টফালিও প্রিমিয়ামের টাকা আদায় নিয়েও ঝুঁকি তৈরী হয়েছে। কিন্তু তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ কোন সঞ্চিতি গঠন করেনি।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, বীমা ব্যবসায় অন্যান্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে তাকাফুলের ৪ কোটি ৪ লাখ টাকা পাওনা টাকা রয়েছে। যা ২০১৯ সাল থেকে আর্থিক হিসাবে দেখিয়ে আসছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই অর্থ আদায় অনিশ্চিত সত্ত্বেও তারা কোন সঞ্চিতি গঠন করেনি। একইভাবে ২০১৯ সাল থেকে পূণ:বীমা পোর্টফালিও প্রিমিয়ামবাবদ দেখিয়ে আসা ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা আদায় নিয়েও ঝুঁকি রয়েছে। এক্ষেত্রেও বীমা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কোন সঞ্চিতি গঠন করেনি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৫১.৭৪ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪২.৪০ টাকায়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *