মে ২০, ২০২৪

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি বিধিমালা ও আচরণবিধিতে সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য একগুচ্ছ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।এতে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ থেকে ১৫ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। এ ছাড়া রঙিন পোস্টার ব্যবহার, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর তুলে দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ২৮তম কমিশন সভায় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আগের জামানত বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন কমিশন।

বর্তমান নির্বাচন বিধিমালায় চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ হাজার এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের জামানত ৫ হাজার টাকা।

ইসি সচিব বলেন, কমিশন সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেগুলো ভেটিং শেষে বিধিমালা সংশোধন হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালায় সংশোধনের প্রস্তাবগুলো হলো-
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে জামানত ১ লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার টাকা এবং মহিলা সদস্যের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, দুটি (সাধারণ ও সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান পদ রয়েছে। পাশাপাশি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য একটি পদও রয়েছে, যারা পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ১৫ ভাগ অপেক্ষা কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্তের প্রস্তাব করা হয়েছে।চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং মহিলা সদস্যদের ১ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনি আচরণ বিধিমালায় সংশোধনের প্রস্তাবগুলো হলো- পোস্টার, ব্যানার সাদা-কালো অথবা রঙিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচরণার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫ জনের অধিক কর্মী বা সমর্থককে নিয়ে জনসংযোগ করা যাবে না। প্রতি ইউনিয়নে একটি এবং পৌরসভার প্রতি তিনটি ওয়ার্ডে একটির বেশি নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করা যাবে না। নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিসের আয়তন ৬০০ বর্গফুটের বেশি হতে পারবে না। নির্বাচনি প্রচারণায় একটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) ব্যবহার করা যাবে না।শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মান মাত্রা ৬০ ডেসিবলের অতিরিক্ত হতে পারবে না। প্রচারণায় পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার না করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *