পবিত্র ঈদুল আজহার আগে আজই শেষ কর্মদিবস। এরপর টানা পাঁচ দিনের ছুটি। তাই ঈদের আগে প্রয়োজনীয় টাকা উঠিয়ে রাখছেন গ্রাহকেরা। ফলে ব্যাংকগুলোতে টাকা তোলার হিড়িক লেগেছে। উত্তোলনের চাপে গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
সোমবার (২৬ জুন) রাজধানীর ব্যাংক পাড়া মতিঝিলের সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও দিলকুশার বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন সকাল থেকেই ব্যাংকগুলোর জমা ও ক্যাশ কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন রয়েছে। বর্তমানে ঈদ উপলক্ষ্যে নতুন টাকার ব্যপক চাহিদা রয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকের শাখায় নতুন টাকার নোট নিতে দেখা গেছে গ্রাহকদের। এদিকে অতিরিক্ত গ্রাহকের উপস্থিতির কারণে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তাদের বেশ চাপ সামলাতে হচ্ছে।
মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঈদের আগে আজ শেষ দিন চাপ আছে। সকাল থেকে গ্রাহকের অনেক ভিড়। জমার চেয়ে উত্তোলনের পরিমাণ বেশি।
শেষ কর্মদিবসে নগদ টাকার সঙ্গে নতুন টাকা বিনিময়ের একটা চাপ রয়েছে। আমরা গ্রাহকের চাহিদা মতো নগদ টাকা দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। শুধু আজ শেষ দিন নয়, গত কয়েকদিন ধরেই গ্রাহকের চাপ বেশি। বাড়তি চাপ সামলাতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিকালীন সময়ে এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, কোরবানির পশুর হাট সংলগ্ন যে কোনো ব্যাংকের শাখা ঈদের আগের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখতে হবে। একইসঙ্গে পোশাকশিল্প এলাকায়ও ঈদের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত পরিসরে ব্যাংক লেনদেন চালু রাখতে হবে।
এছাড়া এটিএম বুথ, পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। এ সময়ে কোনো গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়েও বলা হয়।
এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম পশুর হাট সংলগ্ন ব্যাংকের শাখা ও উপ-শাখা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব শাখায় ঈদের আগের ৪ রাত ১০টা পর্যন্ত লেনদেন পরিচালনার কথা বলা হয়েছে।