বিশ্বনেতাদের চাপ ও আহ্বান উপেক্ষা করে দক্ষিণ গাজার রাফায় সোমবার সূর্যোদয়ের আগে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে শিশুসহ প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে হামলায় ৫২ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এ সময় দুই জিম্মিকে মুক্ত করার দাবি করেছে ইসরায়েল।
সোমবার দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিশেষ বাহিনীর একটি অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিসিআরসি) ফিলিস্তিনি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের হামলায় অনেক ভবন ধসে পড়েছে। যেগুলোয় এখন বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল রাফায় বেসামরিকদের এবং যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিশানা করা অব্যাহত রেখেছে। দখলদারদের সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ রাফায় যুদ্ধ সম্প্রসারণে বিপর্যয়কর পরিণতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সতর্কবার্তা ও আতঙ্কের প্রমাণ।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রাফার শাবৌরা জেলায় একাধিক সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে এবং তা শেষ হয়েছে। রাফায় অভিযানে হামাসের হাতে থাকা দুই ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে। সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ফার্নান্দো সিমন মারমান ও লুইস হার নামের দুই জিম্মির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। উদ্ধারের পর তাদের দেশটির শেবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা হচ্ছে।
হামাস সতর্ক করে বলেছে, রাফায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হলে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির আলোচনা ভেস্তে যাবে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, চূড়ান্ত বিজয়ের আগ পর্যন্ত শুধু সামরিক চাপের ফলেই সব জিম্মিকে মুক্ত করা যেতে পারে।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চার মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৮ হাজার ১৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।