মে ১৭, ২০২৪

ইমামদের নিয়ে ছড়িয়ে পড়া বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে ওই ভিডিওতে তার বক্তব্য এডিট করা হয়েছে বলে দাবি তার।

সম্প্রতি জায়েদ খান ইমামদের নিয়ে কথা বলছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে অন্তর্জালে। যেখানে ইমামদের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা যায় এই নায়ককে। এরপর অন্তর্জালে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। এমনকি অনেকেই জায়েদ খানকে বয়কটের ডাকও দিয়েছেন।

রোববার বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান জানান, একটি ভিডিও কেটে অংশবিশেষ ছড়িয়ে দিয়ে তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি মূলত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীতে যে কিছু কিছু খারাপ মানুষ রয়েছে সেই কথা বলেছি। এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ইমাম যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে পত্রিকায়, যারা বলাৎকারের মতো কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে বলেছি।

জায়েদ খানের দাবি, একজন প্রশ্ন করেছিল আমায় যে আসলে কথাটা ছিল জায়েদ ভাই, আপনার এতগুলো প্রেম, এতো গুজব এসব কেমন লাগে? আমি বলেছিলাম, নায়ক বলেই তো গুজব ছড়ায়। নায়ক হয়ে যদি গুজব না ছড়ায় তাহলে মসজিদের যারা ইমাম আছে তাদের মতো টুপি দিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। ভদ্র নম্র হয়ে জীবনযাপন করতে হবে, বাসায় থাকতে হবে।

তিনি বলেন, তার মানে ইমামদের আমি ভালো হিসেবে বিবেচনা করেছি। ইমামরা ভালো হয়, নামাজ পড়ায়। তাদের পেছনে সমস্ত জ্ঞানী গুণী মানুষরা নামাজ পড়ে। তাদের পেছনেই তো সেজদা দেই আমরা, আমি কিন্তু ভালো উদ্দেশ্যে বলেছি। তবে কিছু কিছু ইমাম দেখবেন কিছু মসজিদে, যারা শিশু বলাৎকারের মতো কাজ করে এটা গর্হিত কাজ। কিছু কিছু মানুষ এমন সব সমাজেই আছে। তাদেরকজে উদ্দেশ্যে বলেছিলাম। সেখানে সকল ইমাম নয়, আলেমের কথা তো ওঠেই নাই। আমি ইসলামের পক্ষে, যারা ইসলাম বিরোধী কাজ করে আমি তাদের বিপক্ষে। দ্যাটস ইট।

বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ায় এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে জায়েদ খান বলেন, ওনারা যে ভুল বুঝেছে সে জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। দুঃখ প্রকাশ করছি এটা একটি পেজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কাজটি করেছে। আমি একজন মুসলমান। আমার বাবা হাজি ছিলেন। আপনারা জানেন আমি মদ খাই না। বিড়ি খাই না। আমি নামাজ পড়ি। আমি কোরআন শরীফ পড়ি। আমি প্রচণ্ড পরিমাণে ইসলামকে ভালোবাসি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *