মে ২০, ২০২৪

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মনে করেন, কিয়েভের সঙ্গে একটি কার্যকর চুক্তিই ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিশেষ সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য যথেষ্ট, তবে সেই চুক্তির ভিত্তি হতে হবে আস্থা।

শুক্রবার মধ্যএশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে সাবেক সোভিয়েত রাজ্যগুলোর এক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুতিন। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘একটি আস্থাপূর্ণ চুক্তিই (রুশ বাহিনীর) এই অভিযানের সমাপ্তি টানতে পারে। আমি সচেতনভাবেই এখানে আস্থার ওপর গুরুত্ব দিতে চাই, কারণ আমাদের (রাশিয়া-ইউক্রেন) পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে বর্তমানে আস্থার ব্যাপারটি শূন্যের কাছাকাছি পর্যায়ে ঠেকেছে।’

‘আমি আগেও বহুবার এ কথা বলেছি, আজ আবার বলছি। আমরা সবসময়েই খোলামেলা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’

২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া খোয়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবির শুরু করেছিল ইউক্রেন। এই নিয়ে দীর্ঘদিন প্রতিবেশী এই দেশটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলার পর চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন।

সেই অভিযানের নবম মাস চলছে এখন। এই নয় মাসে উভয়পক্ষের হাজার হাজার সামরিক ও বেসামরিক মানুষজন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। এছাড়া যুদ্ধের কারণে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার রিজার্ভ জব্দ ও একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রাশিয়াও।

রাশিয়া ক্রিমিয়া অধিগ্রহণের পর ২০১৪ সালে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে শান্তিচুক্তি হয়েছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে; এবং দুই দেশকে সেই চুক্তির টেবিলে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল জার্মানি ও ফ্রান্স।

সম্প্রতি জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যানজেলা মের্কেল জার্মান দৈনিক দিয়ে জেইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউরোপের মূল লক্ষ্য ছিল মস্কোর বিরুদ্ধে কিয়েভকে ‘লড়াইয়ের’ যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা এবং তার প্রাথমিক পদক্ষেপ ছিল মিনস্ক চুক্তি।

বিশকেকের সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘আমি (জার্মানির ব্যাপারে) খুবই হতাশ। কারণ আমি বিশ্বাস করতাম, জার্মান সরকার অন্তত আমাদের প্রতি সৎ ছিল।’

‘তিনি (মের্কেল) যে বক্তব্য দিলেন, তার জের ধরে আমি প্রশ্ন করতে চাই— আমরা কীভাবে ঐকমত্যে পৌঁছাব? সেই আস্থার ভিত্তি কি আর আমাদের মধ্যে আছে?’

 

সূত্র : এএফপি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *