মে ২০, ২০২৪

সাভারের আশুলিয়ায় ব্যবসায়ী ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার কাজিমুদ্দিনকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব-৪ এর সদস্যরা। এসময় হত্যাকারী আব্দুল লতিফকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার এ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন,৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় লিপি ডেইরী ফার্মের বিশ্রাম রুম থেকে ফার্মটির স্বত্বাধিকারী কাজিমুদ্দিনের (৫০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে ক্লুলেস হত্যাকান্ডের এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজদারী বৃদ্ধি করে র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী মোহাম্মদ আবদুল লতিফ খাঁনকে (৩২) গ্রেফতার করে। এসময় হত্যার শিকার ওই ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন,গ্রেফতারকৃত লতিফ ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাইয়ের ছেলে। গ্রেফতারকৃত লতিফের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই সে তার চাচাদের সাথে বসবাস করতো। লতিফের পৈত্রিক সম্পত্তি অংশীদারিত্ব নিয়ে কাজিমুদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল এবং প্রায় সময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হতো। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ভিকটিম কাজিমুদ্দিন তার ডেইরী ফার্মে স্ত্রী সন্তান নিয়ে দেখতে আসে। ডেইরী ফার্মটি বাসার পাশে হওয়ায় স্ত্রী ও সন্তানকে পাঠিয়ে দেন এবং তিনি ফার্মের বিশ্রাম কক্ষে রাত্রিযাপনের উদ্দেশ্যে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে ৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে লতিফ ফার্মে এসে তার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে কথা বললে ভিকটিমের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে লতিফ উত্তেজিত হয়ে রুমে থাকা বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে লতিফ পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে লতিফ সাভারের আশুলিয়া এলাকায় আত্মগোপন করে। সেখান থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *