মে ১৮, ২০২৪

এখনও পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসেননি জাকা আশরাফ। তবে তিনিই যে পিসিবির চেয়ারম্যান হচ্ছেন সেটা প্রায় নিশ্চিত। দায়িত্ব নেয়ার আগেই এশিয়া কাপের ‘হাইব্রিড’ মডেল নিয়ে বিরোধিতা করেছেন আশরাফ। যদিও এসিসি বলছে আশরাফের যা ইচ্ছে বলতে পারে।

কোনো টুর্নামেন্ট নিয়ে এশিয়া কাপের মতো আলোচনা বোধহয় পৃথিবী খুব কমই হয়। গেল কয়েক মাসে প্রতিদিনই পাল্টেছে এশিয়া কাপের নাটকীয়তার চিত্রনাট্য। রমিজ রাজা থেকে শুরু করে নাজাম শেঠি, সবাই এশিয়া কাপ পাকিস্তানে আয়োজন করতে দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের অবস্থান টেকেনি অংশগ্রহণকারী দেশের কাছে। মূলত ভারতের চাওয়াতেই সহযোগী দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কার কথা জানায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। ১৩ ম্যাচের ৯টি শ্রীলঙ্কা আর বাকি চার ম্যাচ হবে পাকিস্তানে। পাকিস্তানে হতে যাওয়া ম্যাচগুলো লাহোরে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

যদিও সেটা নিয়ে বিরোধিতা করেছেন আশরাফ। কদিন আগে নাজাম শেঠি নিজেই নিশ্চিত করেছেন যে তিনি পরবর্তী পিসিবি চেয়ারম্যান হচ্ছেন না। সেখানেই দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আশরাফ। পিসিবির চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। সেখানেই তিনি জানান, ‘আমি হাইব্রিড মডেলের পক্ষে না। টুর্নামেন্টের পুরোটাই পাকিস্তানে হওয়া উচিত। কারণ, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সেই স্বত্ব পাকিস্তানকে দিয়েছে। কিন্তু বড় ম্যাচগুলোতে এই মডেল অনুযায়ী অন্য জায়গায় হবে, শুধু নেপালের মতো ছোট দলগুলো এখানে খেলবে। পাকিস্তানের সঙ্গে ন্যায়বিচার হয়নি।’

পিসিবির চেয়ারম্যান হতে যাওয়া আশরাফের এমন বিরোধিতা নিয়ে খুব বেশি হওয়ার সুযোগ দেখছে না এসিসি। এশিয়ার এই সংস্থা যে আশরাফের কথার গুরুত্ব দিচ্ছে না সেটার প্রমাণ মিলেছে হিন্দুস্তান টাইমকে এক সূত্রের কথাতে।

যেখানে সূত্রটি হিন্দুস্তান টাইমকে বলেছেন, ‘এশিয়া কাপের হাইব্রিড মডেল এসিসি গ্রহণ করেছে। এখানে আসলে পরিবর্তনের আর কোনো সুযোগ নেই। আশরাফের যা ইচ্ছে হয় সে বলতে পারে।’

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে প্রায় এক হাজার বন্দিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, যে কোনো বড় ধরনের ধর্মীয় উৎসবের আগে বন্দিদের ক্ষমা করে দেওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসকদের একটি ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে এবার মুক্তি পাচ্ছেন বন্দিরা। আমিরাত প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমার কারণে বন্দিরা ভবিষ্যৎ নিয়ে পুনরায় ভাবার সুযোগ পান। এর মাধ্যমে পরিবার ও কমিউনিটির সঙ্গে ফের কাজ করতে পারেন তারা।

খবরে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৮ জুন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে ৯৮৮ বন্দিকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। এরই মধ্যে বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা যাওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে ১৯ জুনকে জিলহজ মাসের প্রথম দিন হিসেবে গণনা করা হয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী, আগামী ২৭ জুন পবিত্র আরাফাতের দিন তথা হজ এবং ২৮ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *