মে ১৯, ২০২৪

বিভিন্ন অনিয়ম-জালিয়াতির কারণে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) ওপর আস্থা কমছে সাধারণ গ্রাহকদের। কমছে আমানতের পরিমাণ। তবে, আমানত কমলেও ঋণ বিতরণ থেমে নেই। যে কারণে তহবিল ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এনবিএফআইয়ের আমানত দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে আমানত কমেছে এক হাজার ২০৪ কোটি টাকা।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এনবিএফআইয়ের আমানত দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে আমানত কমেছে এক হাজার ২০৪ কোটি টাকা

অন্যদিকে, সেপ্টেম্বর শেষে এনবিএফআইয়ের ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৬ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে দুই হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে আমানত দিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করা হয় ১১ শতাংশ। ব্যাংকগুলোর জন্য ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর-শেষে ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৭০ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। যা মোট স্থিতির ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর-শেষে ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৭০ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। যা মোট স্থিতির ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত জুনপ্রান্তিক-শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে মোট ঋণের স্থিতি ছিল ৬৯ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা ছিল খেলাপি। খেলাপি ঋণের হার ছিল ২২ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

তিন মাস আগে মার্চপ্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। ওই সময়ে ঋণস্থিতি ছিল ২০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে এ খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ১৬ কোটি টাকা। যা ওই সময়ের ঋণস্থিতির ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

দেশে প্রথম আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮১ সালে আইপিডিসির মধ্য দিয়ে। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্স দিয়ে থাকে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৪ এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোর মতো ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোরও রেগুলেটরি বডি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে বর্তমানে ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সর্বশেষ নগদ ফাইন্যান্সকে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *