মে ২০, ২০২৪

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের এই দিনটি এক বেদনাঘন দিন। এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এ ঘটনায় স্তম্ভিত, হতবাক হয় বিশ্ববিবেক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বরকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দল। আজ সকালে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন, বিশিষ্টজনরা গভীর শ্রদ্ধা বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। যুদ্ধে জয়ী হলেও বাঙালি যেন আর কোনোদিন বিশ্বসভায় শিক্ষা, মননে, জ্ঞানবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।

ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের এই নীল নকশাটি বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের আগ মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরকে বেছে নেয়। তারা তাদের এ দেশীয় বংশবদ ও সব দুষ্কর্মের দোসর কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তা নিয়ে বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অগ্রগণ্য আলোকিত মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রায়ের বাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে একে একে হাত-পা-চোখ বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে এসব জায়গায় পড়ে থাকা আলোকিত ও দেশ বরেণ্য এই মানুষগুলোর মরদেহ পাওয়ার মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয় পাকিস্তানি ঘাতকদের বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা।

ঘাতকদের হাতে সেদিন দেশের যেসব সূর্যসন্তান হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তাদের মধ্যে শহীদুল্লাহ কায়সার, জহির রায়হান, গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, ফজলে রাব্বী, আলীম চৌধুরী, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন অন্যতম। বাঙালির দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসে বরেণ্য এই বুদ্ধিজীবীরা অবদান রেখেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সংগঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবদান রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *