অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে জয় প্রায় মুঠোয় পেয়েও হারিয়ে ফেলেন স্টোকসরা। ২৮১ রান তাড়ায় ২২৭ রানে আট উইকেট পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। যদিও নবম উইকেটে ৫৫ রানের অসাধারণ এক অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলটিকে জয় এনে দেন দুই বোলার প্যাট কামিন্স এবং নাথান লায়ন। কাছে গিয়েও জিততে না পারার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সবার আগেই উঠে আসছে প্রথম দিনের সেই ঘটনা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেদিন আট উইকেটে ৩৯৩ ছিল ইংল্যান্ডের রান। জো রুট খেলছিলেন ১১৮ রানে। সঙ্গী অলি রবিনসনও ব্যাট হাতে ভালোই খেলছিলেন। যদিও দিনের খেলার ২০ মিনিট বাকি থাকতেই আচমকা ইনিংস ঘোষণা দেন স্টোকস।
এজবাস্টন টেস্ট হারের পর আলোচনায় উঠে এসেছে প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের আচমকা ইনিংস ঘোষণার কথা। সেদিন ইনিংস ঘোষণা না করলে ম্যাচটি জিততে পারত ইংল্যান্ড, এমনটা বলছেন দেশটির সাবেক অনেক ক্রিকেটারই। মূলত প্রথম দিনের শেষভাগে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ভেঙে দিতেই ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন তিনি। যদিও প্রথম দিনের সেই ইনিংস ঘোষণায় একটুও আফসোস নেই বেন স্টোকসের।
ম্যাচ শেষে সেই প্রসঙ্গে স্টোকস বলেন, ‘আমি তো ঘুরে দাঁড়িয়ে এটাও বলতে পারি, ‘যদি আমরা তখন ইনিংস ঘোষণা না করতাম, তাহলে কি পাঁচ দিনের শেষে এরকম রোমাঞ্চ পেতাম?’ আমি শতভাগ নিশ্চিত নই। পেছন ফিরে তাকিয়ে ‘যদি-কিন্তু-তবে’ নিয়ে ভাবার লোক আমি নই। সত্যিটা হলো, শেষ পর্যন্ত আমরা জিততে পারিনি। ব্যস। আমার মনে হয়েছিল, (অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারে) ছোবল দেওয়ার সুযোগ ছিল সেটি। যেভাবে আমি ক্রিকেট খেলে চলেছি, শুধু অ্যাশেজ বলেই সেই ধরণ তো পাল্টে ফেলতে পারি না।’
যদিও সেদিন চার ওভারে কোনো উইকেটই নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। উলটো স্কোরবোর্ডে ১৪ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এরপরও ভবিষ্যতে যদি সুযোগ মিলে তাহলে এমন ইনিংস ঘোষণা করে ফেলতে চান স্টোকস। তিনি আরও বলেন, ‘যদি একইরকম অবস্থানে থাকি? হ্যাঁ, ২০ মিনিট বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ৩৯৮ রান থাকলে ভালোই লাগবে (ইনিংস ঘোষণা করতে), দারুণ লাগবে এটা।’