ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

নানা রকম চিনিতে বাজার সয়লাব। সবারই দাবি- এই চিনি বিশুদ্ধ, তৈরি করা হয়েছে খাঁটি আখ থেকে। কেউ বলছেন- সব চিনিতেই ভেজাল আছে। কেউ ভাবছেন- লাল চিনিই আসল চিনি, সাদা চিনি নকল। আবার কেউ সাদা চিনিতেই রঙ দিয়ে লালচে ভাব এনে বিক্রি করছেন। নানা কারণে আখের খাঁটি চিনি কেনার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।

এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা এবং ঝিল বাংলা সুগার মিল লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, ভেজাল মিশ্রিত চিনি দিয়ে এক গ্লাস শরবত বানাতে যেখানে ২.৫ চামচ চিনি দিতে হয়, খাঁটি চিনি এক চামচ দিলেই সে পরিমাণ মিষ্টি হতে পারে।

আখের চিনির রঙ হালকা লালচে হবে। একেবারে সাদাও না, একেবারে লালও না। আসল আখের চিনি খোলা রাখলে ৫-৭ মিনিটের মধ্যেই লাল-কালো পিঁপড়া এসে ভিড় করবে। বাজারের সাদা চিনিতে পিঁপড়া এতোটা ভিড় করে না। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, বাজারের অনেক চিনিতে এখন রঙ মিশিয়ে লালচে করা হয়।

এ ধরনের ভেজাল রঙ মিশ্রিত চিনি চেনার উপায় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাতে নিয়ে ডলা দিলে আলগা রঙ অনেক সময় চোখে পড়ে। পানিতে গুলিয়ে নিলে পানি ঘোলা হবে। গন্ধ শুঁকলে আখের ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে কিনা যাচাই করে নিতে হবে। আখের চিনি বাইরে রাখলে যত দিন যাবে তত, লালচে আকার ধারণ করবে। কিন্তু বাজারের সাদা চিনিতে রঙের পরিবর্তন হবে না।

নাজমুল হুদা আরো বলেন, ভালো চিনি কিনতে হলে নির্ধারিত ডিলার পয়েন্ট থেকে কেনাই ভালো। বাজারে আখের চিনি যেটা আমাদের প্রস্তুত করা প্যাকেটে আমাদের লগো দেয়া আছে। লোগো দেখে চিনতে হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...