যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খেলাপি ঋণ থাকলে ওই ঋণ কোনো মামলা ছাড়াই অবলোপন বা ব্যাংকের মূল হিসাব থেকে বাদ দেওয়া যাবে। একই সঙ্গে মৃত কোনো ব্যক্তির নামে বা তার একক মালিকানাধীন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা যে কোনো অংকের খেলাপি ঋণ মামলা ছাড়াই অবলোপন করা যাবে। তবে অবলোপন করা ঋণের বিপরীতে শতবাগ প্রভিশন রাখতে হবে এবং ঋণ অবলোপনের পর মামলা দায়ের করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রোববার একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে। আগে এ ধরনের বিধান ছিল না।
সূত্র জানায়, ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমাতে অবলোপনের নীতিমালা শিথিল করেছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ অবলোপন করে কমানো সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলো ৫৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ অবলোপন করেছে। ঋণ আদায় না হওয়ার কারণে এখন খেলাপি ঋণ কমাতে তা অবলোপন করার কৌশল নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেননা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের ঋণের শর্ত রয়েছে ২০২৬ সালের মধ্যে খেলাপি ঋণের হার বেসরকারি ব্যাংকের ৫ শতাংশ ও সরকারি ব্যাংকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। ব্যাংক খাত সংস্কারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত রোডম্যাপে আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণের হার কমিয়ে ৮ শতাংশের নিচে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে মোট ঋণের মধ্যে খেলাপি ঋণ ৯ শতাংশ বা ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
সার্কুলারে বলা হয়, খেলাপি ঋণের হার কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অংশ হিসাবে এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারে অবলোপন করা ঋণ আদায়ে একটি আলাদা ইউনিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।