বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আমরা মনে করি ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আপনারা সকলে একটু ধৈর্য্য ধরেন। বিশ্বের দিকে ও নিজের দেশের দিকে তাকিয়ে যদি আমরা ধৈর্য ধরি, তাহলে যে সমস্যাটা দেখতে পারছি সেটা পার হতে পারবো।
মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
চলতি অর্থবছরে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য ৩২ কোটি ৪৬ লাখ চার হাজার টাকা মঞ্জুরি দাবি করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তার এই দাবিতে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন ১০ জন সংসদ সদস্য। তবে আলোচনায় অংশ নেন ছয়জন। বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কোভিড আমাদের অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে। একটা হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। আরেকটা হচ্ছে- স্বাস্থ্যগতভাবে মেমোরিটা লস করে দিয়েছে। ১৬ ঘণ্টা, ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। সেখান থেকে আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে দিনের বেলায় ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। পিক আওয়ারে সন্ধ্যা বেলায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং বর্তমানে চলছে। আরেক সংসদ সদস্য বলছেন আমরা প্রচার করছি না। কিন্তু আমি বারবার আসছি, প্রচার করছি। ওয়েবসাইটে দিয়েছি, বিজ্ঞাপন প্রচার করছি। আমরা কষ্টটা সকলের সঙ্গে ভাগ করতে চেয়েছি। সকলকে জানিয়েছি কোথায়, কীভাবে হবে এবং মিডিয়াতে বলা হয়েছে বারবার। লোডশেডটা বেশিদিন থাকবে না। এর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি।
বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে নসরুল হামিদ বলেন, আমরা সময় মতো কয়লার জন্য এলসি করতে পারিনি। বৈশ্বিক ব্যবস্থা ও বর্তমানে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সবকিছুর ওপর চিন্তা করে আমরা সময় মতো কয়লাটা আনতে পারিনি। যার কারণে পায়রার এ অবস্থা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্ল্যান্ট চালু করে দেব।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হবে, পায়রা চালু হবে। রামপাল চলছে। এসএস পাওয়ার চালু হয়ে যাবে। আমরা ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনছি। আরও নিয়ে আসবো। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আমাদের যে সমস্যা হচ্ছে সেটা হচ্ছে বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের অর্থের যোগানটা সমস্যা হয়ে গেছে। এটা বেশি দিনের জন্য না। আমরা মনে করি ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
মধ্যরাতে অনেক বিদ্যুতের ব্যবহার হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আগে ছিল না। অটো রিকশা সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ নিয়ে যায়। আমরা তো বন্ধ করিনি। সেগুলোও চালু রেখেছি। সাধারণ মানুষ যাতে সেটা ব্যবহার করতে পারে। ৪০ লাখের মতো অটো রিকশা আছে দেশে।