নভেম্বর ১৬, ২০২৪

পবিত্র রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। বাজারে কোনো সুখবর নেই। নানান ধরনের ঘোষণা থাকলেও তার নেই বাস্তবায়ন। এরই মধ্যে আবার বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম।

যদিও বাজারে আমন ধানের চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তারপরও বিআর-২৮, পাইজাম, গুটি ও মিনিকেট চালের দাম গত তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে দুই টাকা করে বেড়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর রামপুরা, হাজীপাড়া, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এর আগে ভোটের পরপর চালের দাম কেজিতে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। এরপর কিছুটা কমে মাস দেড়েক স্থিতিশীল ছিল। এখন আবার মিল পর্যায়ে প্রতি বস্তা চালের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।

পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, তাদের কেনা দাম বেশি। অন্যদিকে মিলারদের দাবি, উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ধানের দাম বেড়েছে।

রামপুরা বাজারের বিসমিল্লাহ রাইস এজেন্সির জসিম উদ্দিন বলেন, গুটি স্বর্ণা ২৩৫০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা হয়েছে প্রতি বস্তা। এ চাল আগে খুচরা ৫০ টাকায় বিক্রি করা যেত, এখন ৫১-৫২ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। বস্তা নিলে ৫১ টাকায় দেওয়া যায়, খুচরায় ৫২ টাকার নিচে হয় না। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মিনিকেট চালের দাম। প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা। মিনিকেট ২৫ কেজির বস্তা আগে ১৬০০ টাকা ছিল, এখন ১৭০০ টাকা হয়েছে। সে কারণে খুচরা ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা ৬৮ টাকা ছিল। আর ভালো মানের মিনিকেটের দাম কেজিপ্রতি আরও দুই টাকা বেশি। একইভাবে পাইজাম চালের দাম ৫১-৫২ থেকে বেড়ে প্রতিকেজি ৫৩-৫৪ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

হাজীপাড়া এলাকায় কুমিল্লা রাইস এজেন্সির কর্ণধার মহসীন বলেন, হঠাৎ করে কেন চালের দাম বেড়ে গেলো তার কোনো উত্তর দিতে পারছেন না মিলমালিকরা। আমরা ভেবেছিলাম রোজার আগে সরকার চাল আমদানি শুল্ক কমিয়েছে, দাম নিম্নমুখী থাকবে। কিন্তু দাম বেড়ে যাবে সেটা ভাবিনি। গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর চালের দাম কেন অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল তা এখনো খুঁজে পাননি চালের পাইকাররা। এবারও তেমন একটি অবস্থার শুরু হলো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...