স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল দলের সদস্য এবং বার্সেলোনার তারকা খেলোয়াড় পিকের সঙ্গে শাকিরার দেখা হয়েছিল ২০১০ সালে। সেই সময় শাকিরার বয়স ছিল ৩৩, আর পিকে ছিলেন ২৩ বছর বয়সি।
মূলত সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের থিম সং ‘ওয়াকা ওয়াকা’ নিয়ে যে মিউজিক ভিডিও তৈরি হয়েছিল- তার সেটেই পরিচয় হয়েছিল তাদের। সেই ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গানটি দিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন ফেলে দেন শাকিরা।
২০২২ সালে বিবৃতি দিয়ে পিকের সঙ্গে ১১ বছরের সম্পর্কছেদের ঘোষণা দেন শাকিরা। দীর্ঘ বিরতির পর চলতি মাসেই ‘ল্যাস মুজেরেস ইয়া নো লোরান’ নামে নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি।
এনডিটিভি ও ফক্স নিউজ লিখেছে- কয়েক দিন আগে সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেন শাকিরা।
শাকিরা বলেন, ‘আমি ভালোবাসার জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছি, ত্যাগ করেছি।’
এই গায়িকার ভাষ্য, পিকে যাতে তার ক্যারিয়ারে মনযোগ দিতে পারেন, সেজন্য তিনি নিজের কাজে বিরতি দিয়েছিলেন; কিন্তু সেই ত্যাগের ফলাফল ‘শূন্য’।
এর আগে নিজেদের দাম্পত্য নিয়ে গত বছর বিলবোর্ড ম্যাগাজিনকে শাকিরা বলেছিলেন, ‘আমার অগ্রাধিকার ছিল আমার ঘর, আমার পরিবার। আমি বিশ্বাস করতাম মৃত্যুর আগপর্যন্ত আমরা একসঙ্গে থাকব।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার মা-বাবা ৫০ বছর একসঙ্গে আছেন। তারা এখনো একে অপরকে প্রথম দিনের মতোই ভালোবাসেন। তাদের ভালোবাসা অনন্য এবং অপূরণীয়। তাই আমি জানি, এমনটা সম্ভব। আমি নিজের এবং আমার সন্তানদের জন্য এটাই চেয়েছিলাম; কিন্তু তা হয়নি।’
বিলবোর্ডকে শাকিরা জানিয়েছিলেন, বার্সেলোনায় থেকে গানের ক্যারিয়ার চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল; কিন্তু তারপরও তিনি বার্সেলোনায় থেকে গিয়েছিলেন শুধু পিকের জন্য। তিনি বলেন, ‘আমি তার (পিকে) জন্যই নিবেদিত ছিলাম।’
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে শাকিরা ও পিকের প্রথম সন্তান মিলানের জন্ম হয়। দুই বছর পরই ২০১৫ সালের জানুয়ারি জন্ম হয় তাদের কন্যাসন্তান সাশার। ১১ বছর একসঙ্গে থাকার পর ২০২২ সালের জুনে একটি যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই দম্পতি। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল- ‘আমরা দুঃখিত যে আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এই মুহূর্তে আমরা আমাদের শিশুদের মঙ্গলের জন্য গোপনীয়তা চাই, যারা আমাদের সবচেয়ে অগ্রাধিকার।’