নভেম্বর ১৫, ২০২৪

তুরাগ নদীর পাড়ে বিশ্ব ইজতেমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নন্দীপুর গ্রামে রোববার সকাল ১০টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী মিনি মহিলা ইজতেমা।

নন্দীপুর গ্রামের ধর্মপ্রাণ তাবলিগ জামাত কর্মী ইসমত আলী প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় যোগদান করে এলাকায় এসে মুসলমানদের কাছে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ ও ঈমান আখলাখ আমল করার দাওয়াত দিতেন। তারই পরামর্শে তার স্ত্রী তারা বানু আজ থেকে ৪১ বছর পূর্বে নিজ বাড়িতে আশপাশের মহিলাদের নিয়ে মহিলা ইজতেমা শুরু করেন। দিন দিন এর প্রসার লাভ করে।

তার মৃত্যুর পর মায়ের আদেশে তার ছেলে আলী উছমান জাকারিয়া নিজ উদ্যোগে প্রতি বছর মহিলা ইজতেমার আয়োজন করে আসছেন। মহিলা ইজতেমায় নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মহিলা যোগদান করেন।

শুক্রবার জুমা নামাজের মধ্য দিয়ে মহিলা ইজতেমা শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় আমবয়ান করেন- ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার নূর নাহার বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পারভীন আক্তার, নেত্রকোনা সদর উপজেলার, মদনপুর গ্রামের হাসফুন্নাহার বেগম, অনন্তপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম, তিয়শ্রী গ্রামের খাদিজা আক্তার, নেত্রকোনা সদর উপজেলার সাতপাইরে মোছা. পারভীন আক্তার, আটপাড়া উপজেলা জেসমিন আক্তার, সামছুন্নাহার বেগম ও ঘাগড়া গ্রামের মোছা. কালার মা তাহমিনা ভিরমুরী।

মিনি মহিলা ইজতেমায় মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মহিলা ইজতেমার মুরব্বি জেসমিন আক্তার।

ইজতেমার আয়োজক আলী উছমান জাকারিয়া বলেন, মহিলা ইজতেমায় আগত মহিলাদের অজু, গোসল ও পয়ঃনিষ্কাষনের জন্য প্রয়োজনীয় পানীয় জল, পর্যাপ্ত টয়লেট ও ইবাদত বন্দেগি করার জন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন, জেলা পরিষদসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করি।

তিনি আরও বলেন, ডিসি স্যারের সহযোগিতায় ও পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইজতেমা শেষ হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...