ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

দেশের উভয় পুঁজিবাজারে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) ডিজিটাল জমা এবং প্রচার প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম শুরুর অপক্ষোয় রয়েছে। এরআগে প্লার্টফর্মটির চালুর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই প্রেক্ষিতে ডিএসই ও সিএসই ডিজিটাল প্লাটফর্ম চালু করতে প্রস্তুত বলে বিএসইসিকে জানিয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

ডিএসইর পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বিএসইসি থেকে দেয়া চিঠির বিষয়বস্তু অনুসারে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে ডিএসই ডিজিটালভাবে তথ্য জমা ও বিতরণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। সফ্টওয়্যারটির পাইলট অপারেশন জুলাই ২০২১ থেকে শুরু হয়েছিল এবং তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ ইস্যুকারীরা ডিএসইর সাথে প্রতিদিন যোগাযোগের জন্য সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করছেন। যোগাযোগের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের বিষয়গুলোর সঠিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ ডিএসই সফ্টওয়্যারটির কার্যক্রম পূর্ণভাবে আগামী ২০-৩০ নভেম্বর শুরু করতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে বিএসইসির নির্দেশনা এবং অনুমোদন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা।

অপরদিকে সিএসই থেকে চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএসইসি থেকে পাঠানো চিঠির আগে সিএসই গত ২৯ জুন ডিজিটাল জমা এবং প্রচার প্ল্যাটফর্ম চালু করার বিষয়ে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিল। যেখানে সিএসই প্ল্যাটফর্মের বেশিরভাগ মডিউল তৈরি করেছে এবং সে বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতে চায় বলে জানিয়েছিল। এবং সে বিষয়ে বিএসইসি চলতি মাসে একটি সময় নির্ধারণও করে দিয়েছে।

তাই সিএসই ৭ (নভেম্বর) আজকে পর্যন্ত সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। যাতে বিএসইসির মতামতের বিবেচনা সহ ডিজিটাল জমা এবং প্রচার প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সময়সূচী সহ একটি কর্ম পরিকল্পনা জমা দিতে পারে।

এরআগে গত মাসে ডিএসই ও সিএসইকে ডেটা সংগ্রহ, ফাইলিং ও প্রচারের জন্য একটি সমন্বিত ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। তাদেরকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই প্ল্যাটফর্ম চালু করার বিষয়ে বিএসইসিতে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তথ্য মতে, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ শেয়ারহোল্ডারদের রিপোর্ট, ঘোষণা, করপোরেট অ্যাকশন, আর্থিক প্রকাশ, মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) এবং বস্তুগত তথ্য, অভিযোগের প্রকাশনা এবং প্রচারসহ তালিকাকরণ এবং ধারাবাহিক তালিকার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করবে।

এছাড়া, ইস্যুয়ার কোম্পানিগুলোর অন্যান্য সম্মতি এবং জমা দেওয়া তথ্য ও প্রকাশনা প্রচার করা হবে এই প্ল্যাটর্মে।

বিএসইসি’র আদেশে উল্লেখ রয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে অবশ্যই মাসিক ভিত্তিতে শেয়ারহোল্ডিংয়ের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে এবং অসঙ্গতিগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিগুলোর সব তথ্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। যাতে পরবর্তী কোনো কাজে তা ব্যবহার বা যাচাই করা যায়। তাই উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে সমন্বিত অনলাইন ডেটা সংগ্রহ, তথ্য জমা দেওয়া এবং প্রচার প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তুতি সম্পর্কিত সাত দিনের মধ্যে কমিশনকে তথ্য সরবরাহ করতে বলেছে। সেক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ যদি ডিজিটাল তথ্য জমা ও বিতরণ প্ল্যাটফর্ম চালু করতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে কমিশন ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫ সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ছিল। ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...