বাংলাদেশের জন্য ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দাতা সংস্থাটির ঋণের এই অর্থ রিজার্ভে এখনো যুক্ত হয়নি। এর মধ্যেই আজ একদিনে রিজার্ভ থেকে ৬ ব্যাংকের কাছে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ ঋণের ডলার পাওয়ার আগেই রিজার্ভ থেকে খরচ করা শুরু করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ডলারের চাহিদা মেটাতে আজ ৬টি ব্যাংকের কাছে রিজার্ভ থেকে ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত রুপালী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং জনতা ব্যাংক রয়েছে।
এদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেছিলেন, বর্তমানে আমাদের রিজার্ভ বিপিএম ৬ অনুযায়ী ১৯ বিলিয়নের মতো। চলতি মাসেই ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে। এসব ঋণ সুবিধা পাওয়ার পর আমাদের রিজার্ভ বাড়বে। আইএমএফের ঋণের ৬৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার আগামী শুক্রবার রিজার্ভে যুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।
তবে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বড় পরিমাণে ডলার খরচ করতে হবে। কারণ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আকু বিলের ১ বিলিয়নের মতো রিজার্ভ থেকে খরচ হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গতকাল রাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অনুমোদন হয়েছে। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় আইএমএফের পর্ষদ।
জানা যায়, বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফ’র প্যাকেজে দুই ধরনের ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা বা বর্ধিত তহবিল (ইসিএফ অ্যান্ড ইএফএফ) থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ ঋণ কর্মসূচি চলাকালীন বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের শর্ত পরিপালন ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বর্তমানে প্রতিদিন রিজার্ভ থেকে সাত-আট কোটি ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও জ্বালানি কেনার জন্য এ পরিমাণ ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় চলতি অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়।
দেশে প্রায় দুই বছর ধরে চলছে ডলার সংকট। এই সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বেশ একটা সুফল বয়ে আনতে পারেনি আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এখনো রিজার্ভ থেকে ধারবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে।