স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে ব-দ্বীপ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপথের পথনকশা তৈরি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভাটি অঞ্চলের একটি দেশ হওয়ায় হিমালয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে অসংখ্য নদী আমাদের দেশের ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।
তাজুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে ঢাকা ওয়াসা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে দেশের ভবিষ্যৎ পানি উন্নয়ন প্রচেষ্টার অভিমুখীনতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বিভিন্ন নির্দেশনার তাৎপর্য এবং তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট কর্মধারা নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানির সঙ্গে সহাবস্থান নিশ্চিত করেই বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের পরিকল্পনা সাজাতে হবে। সেজন্য পানি উন্নয়ন কার্যক্রম সঠিক ব্যবস্থাপনায় থাকা অপরিহার্য।
কর্মশালয় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাবেক উন্নয়ন গবেষণা প্রধান ড. নজরুল ইসলাম।
মো. তাজুল ইসলাম বিভিন্ন খাল পুনরুদ্ধার ও পরিষ্কার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ঢাকার আশেপাশের খালগুলো পুনরুদ্ধার করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টায় ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে দূর করা সম্ভব হয়েছে।
দেশের নদনদীর ওপর নির্মিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন সেতু নির্মান প্রকল্প ফিজিবিলিটি স্টাডি করে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাইড্রলজিক্যাল এবং মর্ফোলজিক্যাল বিশ্লেষণ করে সেতু নির্মাণের ফলে নৌপথের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখন আর কোন অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এছাড়াও গ্রামের রাস্তাঘাট নির্মাণ করার সময় পানির প্রবাহে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তার পাশের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে।