পরিচালনা পর্ষদ ঘোষিত ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছেন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারহোল্ডাররা। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ডিএসইর বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা এই লভ্যাংশ অনুমোদন করেন।
এজিএমে ডিএসইর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সভায় শেয়ারহোল্ডার ও স্বতন্ত্র পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৬ শতাংশ নগদ (শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা) লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পর্ষদ। আগের বছর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ডিএসই।
ডিএসইর তথ্য মতে, বিদায়ী বছর অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে ডিএসইর কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১২৪ কোটি ৪৬ লাখ ৫ হাজার ৭৮৫ টাকা। তার আগের বছর ২০২১ সালে করপরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ১১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রায় ১১ কোটি টাকা মুনাফা বেড়েছে। তাতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৯ পয়সা। যা এর আগের বছর ছিল ৬৩ পয়সা।
ডিএসই সূত্র মতে, করোনা শনাক্তের বছর ২০২০ (অর্থাৎ জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২০ সালে) সালে ডিএসইতে কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ২৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। সে বছর শেয়ারহোল্ডারদের ৩ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
তার আগের বছর ২০১৯ সালে মুনাফা হয়েছিল ৯৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে মুনাফা হয়েছিল ১০৪ কোটি ৪০ লাখ এবং ২০১৭ সালে মুনাফা হয়েছিল ১২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এই তিন বছর শেয়ারহোল্ডারদের ৫, ৫ এবং ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ডিএসই বাংলাদেশের প্রধান ও প্রথম পুঁজিবাজার। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাজারটির প্রধান কার্যালয় ঢাকার নিকুঞ্জে অবস্থিত। ডিএসই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত। ডিএসই আর্টিকেলস অব রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন্স অ্যান্ড বাই-লজ, সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯, কোম্পানিজ আইন ১৯৯৪ এবং সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ দ্বারা শাসিত হয়ে থাকে।