চীনে সম্প্রতি বেড়েছে করোনার প্রকোপ। এতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) খুবই উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক প্রেস কনফারেন্সে তিনি একথা জানান।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি ‘খুব উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। আর তাই চীনে বর্তমান সংক্রমণের জেরে অসুস্থ ব্যক্তিদের রোগের তীব্রতা, হাসপাতালে ভর্তি এবং নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্যও আবেদন করেছেন তিনি।
এদিকে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির কারণে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চীনকে লড়াই করতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিনিয়র একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, চীন থেকে কোভিড সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্যের অভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও এ সংক্রান্ত নানা তথ্য নিয়ে চীনের সরকারি পরিসংখ্যান খুব বেশি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ কঠোর জিরো কোভিড পলিসির সাম্প্রতিক শিথিলকরণের পরে সারা দেশে ভাইরাস শনাক্তে কম পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর জরুরি অবস্থা বিভাগের পরিচালক মাইক রায়ান বুধবার বলেছেন, ‘বলা হচ্ছে, চীনে আইসিইউতে তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক রোগীকে যেতে হচ্ছে, তবে মনে করা হচ্ছে চীনের আইসিইউগুলো রোগীতে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাই না যে, চীন ইচ্ছা করেই আমাদের সামনে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরছে না। আমি মনে করি, তারা (চীন) বর্তমান চিন্তা বা প্রবণতা থেকে পিছিয়ে রয়েছে।’
রায়ান উল্লেখ করেছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চীনে টিকা দেওয়ার হার বেড়েছে। তবে তার অভিমত, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট রুখতে দেশটি আগামী সপ্তাহগুলোতে পর্যাপ্ত টিকা দিতে সক্ষম হয় কিনা তা দেখতে হবে।
রায়ান বলেন, ডব্লিউএইচও (চীনকে) ভ্যাকসিন আমদানি করার কাজকে উৎসাহিত করবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন ব্যবস্থাও খুঁজে বের করবে যেখানে যতটা সম্ভব ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়।