একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ও কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। এবারের নির্বাচনে বিজয়ী এমপিদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে ৬৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। বিগত জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন, যা মোট সংসদ সদস্যের ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে ২৬৯ জনের। ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ সংসদ সদস্যের সম্পদ কোটি টাকার ওপরে। একাদশ জাতীয় সংসদে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদশালী সংসদ সদস্য ছিলেন ২৪৭ জন বা ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত সংসদের তুলনায় দ্বাদশ সংসদে উচ্চশিক্ষিত সংসদ সদস্যের সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। এবারের সংসদে এমপিদের ৮২ দশমিক ৬০ শতাংশ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। একাদশ সংসদে এই হার ছিল ৮১ শতাংশ।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন করা আছে। বিভ্রান্তিমূলক তথ্যও আছে। যে উদ্দেশ্যে প্রার্থীদের হলফ নামায় তথ্য দিতে বাধ্যতামূলক করেছিলেন আদালত, সেই উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একপক্ষীয় হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে আছে যথার্থ বিকল্প থাকা, সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকা, ক্ষমতার রদবদলের সুযোগ থাকা ইত্যাদি। এর মধ্যে এবারে নির্বাচনে অনেক বৈশিষ্ট্য ছিল না।