

প্রবল তারল্যসংকট চলছে দেশের ব্যাংকগুলোতে। সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। গত মঙ্গলবার নিলামে ৩২টি ব্যাংক ও ৪টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রেপো ও তারল্যসহায়তা সুবিধার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ১৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ধার নিয়েছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো এবং অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটির (এএলএসএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে ৭ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৮টি ব্যাংক ও ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকার ১০৫টি বিড এবং ১ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটির আওতায় ১৪টি পিডি ব্যাংক মোট ৫ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকার ৫৭টি বিড দাখিল করে।
সূত্র আরও জানায়, অকশন কমিটি কর্তৃক সব বিডই গৃহীত হয়। ফলে রেপো এবং এএলএসএফের আওতায় মোট ১৩ হাজার ২০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। উল্লিখিত ৭ দিন মেয়াদি রেপো এবং অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটির সুদের হার ছিল যথাক্রমে বার্ষিক শতকরা ৮.১০ ও ৮.০০ ভাগ।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রাসংকট, সরকারি ট্রেজারি বিলের ক্রমবর্ধমান সুদের হার ও নীতি হার বৃদ্ধির কারণে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে তারল্যসংকট তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্যসহায়তা নিয়ে ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করছে। কারণ ট্রেজারি বিলের সুদহার ১১ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে তারল্যের সংকটের মধ্যে ব্যাংকগুলো কয়েক মাস ধরে প্রতি কার্যদিবসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্যসহায়তা পাচ্ছে। এখন ব্যাংকগুলোকে তারল্যসহায়তা কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাই থেকে রেপোর মাধ্যমে তারল্যসহায়তা প্রতিদিনের পরিবর্তে সাপ্তাহিক হবে।