![](https://thebiz24.com/wp-content/uploads/2022/11/Imran_pm.jpg)
![](https://thebiz24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেছেন তাকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, ‘হামলার আগের দিন জানতে পারি গুজরাটের ওয়াজিরাবাদে তারা আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে।’
ওয়াজিরাবাদে লং মার্চের সময় বন্দুকধারীদের হামলায় আহত এই নেতা শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সেনা কমান্ডার মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসির তাকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। এসময় হত্যাচেষ্টায় দায়ী করার পাশাপাশি ওই তিনজনের পদত্যাগও দাবি করেন ইমরান।
যদিও বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের অভিযোগ অস্বীকার করে দেশটির সরকার জানিয়েছে, ‘ধর্মীয় চরমপন্থি’ এক বন্দুকধারীই ইমরানকে হত্যাচেষ্টার জন্য দায়ী।
এদিকে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা ইমরানের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিহিত করেছে।
সামরিক বাহিনীর ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পাকিস্তান সরকারকে বিষয়টি তদন্ত করতে এবং সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ ছাড়াই মানহানি ও মিথ্যা অভিযোগ করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সানাউল্লাহও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, জোট সরকার এই ঘটনার স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও ইমরানের ওপর হত্যাচেষ্টার নিন্দা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তানের ধ্বংস ঠেকাতে সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইসলাম (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। হত্যাচেষ্টার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতাল থেকে দেয়া প্রথম ভাষণে এ আহ্বান জানান ইমরান।
তিনি বলেন, ‘আপনি (সিওএএস) যদি কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন তবে জাতি ভেঙে পড়তে শুরু করবে।’
পিটিআই প্রধান ইমরান খান দাবি করেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানকে কেবল তার দল পিটিআই ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে।
ইমরান বলেন, ‘সামরিক বাহিনী যদি দেশকে একত্রিত করতে পারত, তবে পূর্ব পাকিস্তান ভেঙে যেত না। শুধু রাজনৈতিক দলগুলো দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে, সেনাবাহিনী তাদের সহায়তা করে। আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিইনি।’
পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে আগাম নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত ইসলামাবাদ অভিমুখী লং মার্চে বৃহস্পতিবার ইমরান খানের ওপর বন্দুক হামলা হয়। তার পায়ে গুলি লাগলেও, তা অপসারণ করা হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। ভর্তি আছেন লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতালে।
হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে আগেই জানতেন বলে দাবি করে ভাষণে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘হামলার আগের দিন জানতে পারি গুজরাটের ওয়াজিরাবাদে তারা আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে।’