নভেম্বর ২০, ২০২৪

সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। সেই লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সরকার বিদ্যুৎ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সংস্কারের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪ এ বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৩০ হাজার ৬৭ মেগাওয়াট। ২০৩০ সালে তা ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট করতে চায় সরকার। তবে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। ২০৩০ সালে তা হবে ৩৩ হাজার এবং ২০৪১ সালে দাঁড়াবে ৫২ হাজার মেগাওয়াটে। বাংলাদেশে এখন সঞ্চালন লাইন রয়েছে ১৪ হাজার ৯৬২ কিলোমিটার, তা ২০৩০ সালে হবে ২৩ হাজার ৯২২ কিলোমিটার এবং ২০৪১ সালে হবে ২৯ হাজার ৬২৬ কিলোমিটার।

বিদ্যুৎ বিভাগের এখন গ্রিড উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ৬৬ হাজার ২৭০ এমভিএ, তা ২০৩০ সালে হবে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৭ এমভিএ। ২০৪১ তা বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩২ এমভিএ। এখন বিদ্যুতের মাথাপিছু উৎপাদন ৬০২ কি.ও.ঘ। আগামী ৬ বছর পর হবে ৮১৫ এবং ২০৪১ সালে হবে ১ হাজার ৪৭৫ কি.ও.ঘ।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনেকগুলো প্রকল্প নির্মাণাধীন আছে। সরকারি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো হলো- ঘোড়াশাল তৃতীয় ও চতুর্থ ইউনিট রিপাওয়ারিং, মাতারবাড়ী ১,২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক, রূপসা ৮৮০ মেগাওয়াট সিসিপিপি ও ময়মনসিংহ ৩৬০ মেগাওয়াট সিসিপিপি।

যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো হলো- পটুয়াখালী ১,৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মৈত্রী সুপার থার্মাল ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র (ইউনিট-২)।

বেসরকারি খাতে নির্মাণাধীন উল্লেখযোগ্য প্রকল্পসমূহ- মেঘনাঘাট (সামিট) ৫৮৩ মেগাওয়াট সিসিপিপি, মেঘনাঘাট (রিলায়েন্স) ৭১৮ মেগাওয়াট সিসিপিপি ও আনোয়ারা (ইউনাইটেড) ৫৯০ মেগাওয়াট সিসিপিপি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...