ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ডধারী স্বল্পআয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির জন্য ৫০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান তেল ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে মোট ব্যয় হবে ৮০ কোটি টাকা। প্রতি লিটার রাইস ব্র্যান তেলের দাম পড়বে ১৬০ টাকা।
সূত্র জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টিসিবি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ২৮,৪৩,৪৭৮২৬ লিটার ভোজ্যতেল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্র রয়েছে। এ পর্যন্ত ২২,৫১,৩৭,৬০২ লিটার ভোজ্যতেল ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত ক্রয়ের পরিমান ৫০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান তেল সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই ৫০ লাখ লিটারের মধ্যে ২৫ লাখ লিটার তেল এখন ক্রয় করা হবে।
সূত্র জানায়, টিসিবি কর্তৃক ৫০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান তেল স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ,২০০৮ অনুসরণ করে দুটি ক্রয় প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এর মধ্যে যশোরের নোয়াপাড়ার মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে এই তেল সরবরাহের জন্য দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ২ লিটার পেট বোতলে ২৫ লাখ লিটার তেল সরবরাহের সম্মতি জানায়। দরপ্রস্তাবে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি লিটারের দাম ১৭৫.০০ টাকা উল্লেখ করে। অন্যদিকে মজুমদার প্রডাক্টস লিমিটেড, কাওরান বাজার, ঢাকা প্রতি লিটার রাইস ব্র্যান অয়েলের দাম ১৬৯.৫০ টাকা উল্লেখ করে। প্রতি লিটার তেলের দাম দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য ১৭৫.৪৯১ টাকা।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক প্রাপ্ত দরপ্রস্তাব রেসপনসিভ হয়। মূল্যায়ন কমিটি প্রস্তাবিত দর পর্যালোচনা করে প্রতি লিটার রাইস ব্র্যান তেলের মূল্য ১৬০ টাকা যথাযথ মর্মে বিবেচনা করে দরদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এরপর রাইস ব্র্যান তেল সরবরাহের জন্য দরদাতাদের সম্মতি চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠান ২টি ১৬০ টাকা প্রতি লিটার তেল সরবরাহের সম্মতি জানিয়ে চিঠি দেয়।
উল্লেখ্য যে, এর আগে গত এপ্রিল মাসে রাইস ব্র্যান তেল প্রতি লিটার ১৬৯.২৫ টাকা দরে ক্রয় করা হয়েছিল।
এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য বুধবার অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।