ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরির সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাফ সেঞ্চুরি। তাদের তিনজনের ব্যাটে ৩৪৮ রানের বড় পুঁজি পায় মোহামেডান স্পোর্টি ক্লাব। এমন লক্ষ্য তাড়ায় কখনও ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি সিটি ক্লাব। আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আসিফ আহমেদের হাফ সেঞ্চুরিতে কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে তারা। সিটি ক্লাবকে ১০১ রানে হারিয়ে ডিপিএলে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিলো মোহামেডান।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর গ্রাউন্ডে জয়ের জন্য ৩৪৯ রান তাড়ায় নাজমুল অপুর ফুলটস ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে চার মারেন তৌফিক খান তুষার। যদিও পরের পাঁচ বলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। এদিকে ভালো শুরুর আভাস দিয়েও দ্রুতই আউট হয়েছেন জয়রাজ শেখ।
সাকিব আল হাসানের গুড লেংথ ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ১০ রান করা এই ব্যাটার। জয়রাজ আউট হলেও দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন তুষার। তবে তাকে ইনিংস খুব বেশি বড় করতে দেননি নাজমুল অপু। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে সৈয়দ খালেদ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৪ বলে ৩৬ রান করা এই ব্যাটার।
মাজ আহমেদ সাদাকাতকে বিদায় করেছেন জ্যাক লিনটট। উইকেটকিপার অঙ্কনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭ রান করা সাদাকাত। দারুণ ছন্দে থাকলেও এদিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি শাহরিয়ার কমল। সিটি ক্লাবের এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন আসিফ রাতুল ও মামুন। তারা দুজনে মিলে ক্রমশই হারের ব্যবধান কমাতে থাকেন। দারুণ ব্যাটিং করলেও ৭০ রানে লিনটটকে উইকেট দিয়ে ফিরতে হয় মামুনকে। তাকে সঙ্গ দেয়া আসিফ রাতুল আউট হয়েছেন ৫২ রানে। তাকে আউট করেন সৌম্য সরকার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই রনি তালুকদারকে হারায় মোহামেডান। তিনে নেমে সৌম্য ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে দলকে টানেন মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫৯ বলে ৭১ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। এদিকে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন ইমরুল। বাঁহাতি এই ওপেনার খেলেছেন ১১৪ রানের ইনিংস। এ ছাড়া ৫২ বল ৬৫ রান করেছেন অঙ্কন। শেষ দিকে নেমে ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। বল হাতে বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার ১ উইকেট।