নভেম্বর ১৫, ২০২৪

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীতে ৬৪টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। বাসে আগুন দেওয়ার সময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার নিয়ে আজ শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে তিন দফা অবরোধ ও একদিন হরতাল পালিত হয়েছে। এ কর্মসূচিতে স্বাভাবিক জনজীবন বিঘ্নিত করার প্রয়াস চালানো হয়েছে। ২৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ঢাকায় ৬৪টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও নাশকতা করা হয়েছে। সূত্র রেডিও টুডে।

তিনি বলেন, যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে আগুন দিয়ে নেমে যায় নাশকতাকীরা। এ ঘটনায় এক বাসের হেলপার নিহত হয়েছেন ও অনেক মানুষ আহত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নাশকতার সময় হাতেনাতে এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা অবরোধের আগের দিন বা অবরোধের দিন আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

গ্রেপ্তার ১২ জনের রাজনৈতিক পরিচয় কী জানতে চাইলে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যে ১২ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি তারা প্রত্যেকই অবরোধ কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এমন দেখা গেছে যে, একজন আরেকজনকে নিয়োগ করেছে, আবার আরেকজন অন্য জনকে নিয়োগ করেছে। তারা বিভিন্নভাবে অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে মানুষকে ভীত করার জন্য এবং মানুষ যেন ভয়ে রাস্তায় না নামতে পারে সেই লক্ষ্যে অবরোধের আগের দিন ও অবরোধের দিন নাশকতা করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, জনগণ এখন সচেতন। তারাও নাশকতা ঠেকাতে সোচ্চার। ইতোমধ্যে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য একজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বাকি আরও কয়েকজন আছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...