বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে তানজিম হাসান সাকিবের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। বিশেষ করে তার জন্য জায়গা হারান আরেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সে সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছিলেন, মাঠের নিবেদন আর একাগ্রতাই তানজিমকে এগিয়ে রেখেছে।
সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে তানজিমের পারফরম্যান্সে নজর ছিল অন্যদের চেয়ে বেশি। তবে সেই চাপ সামলে নিজেকে দুর্দান্তভাবে মেলে ধরেছেন এই তরুণ পেসার। শ্রীলংকার নিজের প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তানজিম শিকার করেন ১ উইকেট। আর গতকাল তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করলেন নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
গতকাল নিউইয়র্কের নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে বোলিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। নতুন বলে এমন পেস আক্রমণই চায় প্রতিটি দল। গতকাল বাংলাদেশকে এমন আগুনঝরা বোলিং উপহার দিয়েছেন তানজিম।
নিজের করা টানা তিন ওভারে তিনি ফিরিয়েছেন রিজা হেনড্রিক্স, কুইন্টন ডিক কক এবং ট্রিষ্টান স্টাবসকে। সবমিলিয়ে ৪ ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১৮/৩। যা এই ফরম্যাটে তার সেরা স্পেল। ম্যাচ শেষে তানজিম জানিয়েছেন, প্রতিটি বলেই নিজের সেরাটা দেওয়ার তাড়না ছিল তার।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে তানজিম বলেন, ‘নাহ্, তেমন কিছু ছিল না। আমার কাজই হচ্ছে পারফর্ম করা। নির্বাচকেরা যেখানে আমাকে খেলাবে, সেখানেই পারফর্ম করব। আর এই বিশ্বকাপে আমি চেষ্টা করছি প্রতিটি বলেই নিজের সেরাটা দেওয়ার। কোনো বলকেই আমি হালকাভাবে নিই না। নিজের মানসিকতাকে সেভাবেই আমি সেট করেছি। আমি যদি ২৪টা বল করি, প্রতিটাই যেন সেরা বল হয়। মানসিকতায় এটুকু পরিবর্তন আমি নিয়ে আসছি।’
যে কোন ফরম্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী। এছাড়া তাদের টপ অর্ডারের সবকয়টি ব্যাটসম্যান আইপিএল খেলে নিয়মিত। এমন দলের বিপক্ষে ভালো খেলা যে কোনো বোলারের জন্য অনুপ্রেরণা। তানজিম মনে করেন, এই ম্যাচ তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে আরো বেশি।
‘হ্যাঁ। আজকের স্পেলটা আমি অনেক উপভোগ করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ রকম একটি স্পেল অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে বলে মনে করি। যেকোনো বোলারকে আত্মবিশ্বাস দেবে। তারা বিশ্বের অন্যতম সেরা একটা দল। সব দলের সঙ্গে ওরা অনেক আধিপত্য বিস্তার করে খেলে। তাই এদের বিপক্ষে ভালো বোলিং করা মানে নিজেকে উজ্জীবিত করা।’