সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. রুহুল আমীন স্বপনসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টন থানায় মামলটি দায়ের করেন আফিয়া ওভারসিজের প্রোপাইটর আলতাব খান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে।
মামলার এজাহারে বাদী আলতাব খান অভিযোগ করেন, জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও মামলার আসামিরা মাফিয়া সিন্ডিকেট চক্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধানের মূলনীতি পরিপন্থি জঘন্য অপরাধ করেছে। মালার আসামি সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সরকারি চাকুরিরত অবস্থায় নিজ মন্ত্রনালয়ের অধীনে ছেলেকে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আর সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার পরিবারের সদস্য অর্থাৎ তাহার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে বিধিবর্হিভূতভাবে একটি প্রবাসী নামক অ্যাপস চালু করার অনুমোদন দিয়ে চক্রকে সহযোগিতা করেছে।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে আমার সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে আমার কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে প্রত্যেকের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা আদায় করেছে। এছাড়া তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছে।