নভেম্বর ১৫, ২০২৪

বেনাপোল প্রতিনিধি(,যশোর): : বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করে বিদায়ী ২০৩-২৪ অর্থবছরে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৮ জন পাসপোর্টধারী। এর মধ্যে ভারতে গেছে ১১২৫০০৪ জন এবং ভারত থেকে এসেছে ১০৮০৪৭৪ জন। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে যাত্রীর যাতায়াতের সংখ্যা ছিল ২১ লাখ ২৯ হাজার । এসময় ভ্রমন কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের আয় প্রায় ১২০ কোটি টাকা। আর ভারত সরকারের আয় ১০০ কেটির উপরে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যাত্রী যাতায়াতের পরিমান বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজা ৭৮৫ জন।

তবে যাত্রী যাতায়াতে সরকারের আয় বাড়লেও কাঙ্খিত সেবা বাড়েনি অভিযোগ ভুক্তভোগী যাত্রীদের। এতে কাঙ্খিত যাত্রী বাড়েনি । তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন সেবা বাড়াতে বন্দরে যাত্রী ছাওনির জন্য জায়গা অধিগ্রহনের কাজ চলছে আর ভারতে অংশে ইমিগ্রেশনকেও সেবা বাড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জানা যায়, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের অন্যতম বানিজ্যিক শহর ও পর্যটন কেন্দ্র কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার বেশির ভাগ পাসপোর্টধারীরা চিকিৎসা,ব্যবসা,উচ্চ শিক্ষা গ্রহন আর দর্শনীয় স্থান ভ্রমন করতে বেনাপোল সীমান্ত ব্যবহার করে থাকে।

পদ্মা সেতু ব্যবহারে এ যাত্রা আরো সহজ হয়েছে।তবে দুই পারের ইমিগ্রেশন, কাস্টম ও বন্দরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ভুক্তভোগী যাত্রীদের।।রয়েছে দালাল চক্রের কবলে পড়ে পাসপোঁটধারীদের ছিনতায় ও প্রতারনার ঘটনা। এসব বিষয় বিভিন্ন সময় পাসপোর্টধারীরা প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযোগে কোন ধরনের প্রতিকার মেলেনি। বেনাপোল ও ভারত ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সারতে একজন যাত্রীতে রোদ,বৃষ্টি ও মশার কামড় উপেক্ষা করে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। অথচ যাত্রী সেবার নামে বন্দর ৫৫ টাকা, সোনালী ব্যাংক ১০০০ টাকা আদায় করে। এছাড়া ভিসা প্রদানের জন্য ভারতীয় দূতাবাস ৮৪০ টাকা প্রতিজনে জমা নেয়।

বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি উজ্বল বিশ্বাস জানান, হয়রানির শিকার হতে হয় ভারত অংশে বেশি। বিভিন্ন বৈঠকে যাত্রী সেবা বাড়াতে অনুরোধ জানালেও কাঙ্খিত সেবা মেলেনি।

পাসপোধারি রহমান জানান,ভ্রমন কর ৫০০ থেকে ১০০ টাকা বাড়লেও সেবা বাড়েনি। রোদ,বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ৬ ঘন্টা রাস্তায় দাড়াতে হয় ।

পাসপোর্টধারী আবির হোসেন জানান, পদ্মা সেতুর সুবিধায় ঢাকা থেকে ৫ ঘন্টায় বেনাপোল আসা যায়। একই সময়ে ফেরা যায় ঢাকায়। তবে বন্দর ভোর সাড়ে ৬ টার পর খোলায় দূর্ভোগ রয়ে গেছে পাসপোর্টধারীদের।

বেনাপোল বন্দরের সহকারি পরিচালক রতন সরকার জানান,২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যাত্রী যাতায়াতের পরিমান বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজা ৭৮৫ জন। যাত্রীদের দালালদের থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া যাত্রি সুবিধা বাড়াতে বন্দরে প্যাছেঞ্জার টার্মিনালের জায়গা অধিগ্রহনের কাজ চলমান রয়েছে। ভারত অংশেও তাদের সেবা বাড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...