ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সুন্নি ইজতেমা। ১৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) শুরু হবে এ ইজতেমা।
কুরআন ও সুন্নাত প্রচারের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কাওলা (আশিয়ান সিটি) ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনের এ ইজতেমা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ফজর নামাজের পরে শুরু হবে ইজতেমা। শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি জুমার নামাজ ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। দেশবিদেশের বরেণ্য সুন্নি স্কলার, আলেমে দ্বীন তিন দিনের ইজতেমায় ইসলামের মৌলিক বিষয়, আকায়েদ, আমল নিয়ে সারগর্ভ বয়ান করবেন।
দেশের লাখো মুসল্লি এ ইজতিমায় যোগ দেবেন বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তিনদিনের সুন্নাতে ভরা এ ইজতেমার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জিম্মাদার (মিডিয়া বিভাগ) মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী আত্তারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আশিয়ান সিটি ইজতেমা ময়দানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতোমধ্যে কাওলা (আশিয়ান সিটি) ময়দানজুড়ে টানানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। পুলিশ চেকপোস্ট, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট ও পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার। আগত মুসল্লিদের তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করানো হবে।
পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে দাওয়াতে ইসলামীর কয়েকশ নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া মুসল্লিদের জন্য অজু, গোসলসহ প্রয়োজনীয় খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা থাকছে। পিডিবির সহায়তায় দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জিম্মাদার (আন্তর্জাতিক বিভাগ) আলহাজ মুহাম্মদ কামাল আত্তারী, ইজতেমা জিম্মাদার ও দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ (সাধারণ সম্পাদক) ছিলেন সরফরাজ আশরাফী, বাহাদুর আত্তারী, মাহমুদুল হক কাদেরী, কেন্দ্রীয় সদস্য নাইমুল হায়দার কাদেরী, ইমতিয়াজ কাদেরী প্রমুখ।
দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জিম্মাদার (আন্তর্জাতিক বিভাগ) আলহাজ মুহাম্মদ কামাল আত্তারী বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এ ইজতিমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ইজতেমা শেষে মুসল্লিরা ১২ দিন, ৩০ দিন, ৬৩ দিন, ৯২ দিন ও ১২ মাসের মাদানি কাফেলায় বের হয়ে দেশের বিভিন্ন মসজিদে সফর করে ইলমে দ্বীন প্রচার করবে এবং মানুষকে ইসলামের পথে দাওয়াত দেবে।